সকল মেনু

দানবাকৃতির কচ্ছপ!

পৃথিবীতে এক সময় অনেক অদ্ভূত প্রাণির অস্তিত্ব ছিল। সময়ের ব্যবধানে আর বিবর্তনের পরিক্রমায় হারিয়ে গেছে এসব প্রাণি। এগুলোর মধ্যে অনেক প্রাণি ছিল বৃহদাকার। আজ আমরা অনেক ছোট ছোট প্রাণির অস্তিত্ব দেখতে পাই। এর অনেকগুলোর পূর্বসূরিরা ছিল অতিকায় আকৃতির।

এমনই এক ধরনের প্রাণি কচ্ছপ। তবে আজ আমরা যে কচ্ছপ দেখতে পাই সেগুলো নয়। এক সময় দানবীয় আকারের ছিল কচ্ছপেরা। এগুলোকে বলা যায় ‘জায়ান্ট টরটয়েজ’। বৈজ্ঞানিক এক গবেষণা দেখা গেছে, সাধারণত দ্বীপে বাস করতো ওইসব কচ্ছপ। মেরুদণ্ডী প্রাণিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দিন বেঁচে থাকতো জায়ান্ট টরটয়েজ। জীববিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন মনে করতেন, অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চলতে পারতো ওই প্রাণিগুলো।

তবে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা ডারউইনের গবেষণাকে ভুল প্রমাণ করেছে। এতে দেখা গেছে, শুধু দ্বীপেই নয়, সর্বত্রই বাস করতো দানবাকার কচ্ছপেরা। আর দ্রুতও চলতে পারতো না তারা। এগুলো চলতে খুবই ধীরে। ডারউইনের মতবাদে বলা হয়েছে, বৃহৎ দ্বীপে বাস করার কারণেই তাদের আকৃতি হতো বৃহদাকার। তবে নতুন গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, আসলে এগুলোকে যত বৃহৎ আকারের মনে করা হয় ততটা বৃহৎ ছিল না।

কচ্ছপগুলোর খোলসের আকৃতি থেকে বোঝা যায়, এগুলো লম্বায় ১০০ সেন্টিমিটারের মতো হয়। যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণাংশ এবং মধ্য-আমেরিকায় একটি দানবীয় আকারের কচ্ছপের অস্তিত্ব ছিল। এটাকে বলা হতো, সাউদইস্টার্ন জায়ান্ট টরটয়েজ। ধারণা করা হয়, ১২ হাজার বছর আগে এটির অস্তিত্ব ছিল। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডেও এ ধরনের কচ্ছপের অস্তিত্ব ছিল বলে মনে করা হয়। একে বলা হতো, নিনজা টরটয়েজ।

বিজ্ঞানীদের মতে, সব জায়ান্ট টরটয়েজদের উৎপত্তি হয়েছিল ‘সিওয়ালিকস জায়ান্ট টরটয়েজ’ থেকে। এগুলো কয়েক কোটি বছর আগে ভারতের পাঞ্জাব এলাকায় বাস করতো। তবে এগুলো কতদিন বেঁচে থাকতো এর কোনো সন্ধান করতে পারেননি গবেষকরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top