সকল মেনু

বাংলাদেশকে চোখ রাঙ্গাচ্ছে নেদারল্যান্ডস!

দুই বছর আগের ঘটনাটা সবার মনে থাকার কথা। বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই চলছিল। মূল পর্বে যেতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪.২ ওভারে নেদারল্যান্ডসকে ১৯০ রানের টার্গেট স্পর্শ করতে হতো। ১৩.৫ ওভারেই তা করেছিল ডাচরা! এরপর মূল পর্বে ইংল্যান্ডকেও হারিয়েছিল। সেই ডাচদের সামনেই আজ বাংলাদেশ দিয়েছে ১৫৪ রানের জয়ের টার্গেট। বাংলাদেশের বোলারদের জন্য কঠিন কাজই তো! তার ওপর ধর্মশালায় রান হয় প্রচুর। নিজেদের ৭ উইকেটে তোলা ১৫৩ রান এখনো ভয় দেখাচ্ছে টাইগারদের!

এই রিপোর্ট লেখার সময় এগিয়ে রাখতে হবে ডাচদেরই। ১০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭১ রান। বাকি ৬০ বলে তাদের করতে হবে ৮৩ রান। বেন কুপার ১৭ ও অধিনায়ক পিটার বোরেন ১০ রানে ব্যাট করছেন।

বাংলাদেশের বোলাররা দারুণ ফর্মে আছেন। বিশেষ করে পেস আক্রমণ। এশিয়া কাপ প্রমাণ। আর আল আমিন হোসেন এদিনও বরাবরের মতো ব্রেক থ্রু এনে দিলেন। ওয়েসলি বারেসি (৯) ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন পঞ্চম ওভারে। কিন্তু অন্য ওপেনার স্টিফান মাইবার্গ চোখ রাঙ্গাচ্ছিলেন। নাসির হোসেন সপ্তম ওভারে দিলেন ১৪ রান। নাসিরই পরের ওভারে তুলে বোল্ড করে দিয়েছেন মাইবার্গকে (২৯)।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করা বাংলাদেশের ইনিংসটি আসলে তামিমময়। দলের ৫৪.২৫ শতাংশ রান করেছেন। ৫৮ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮৩ রানে অপরাজিত থেকেছেন। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর এটি। সর্বোচ্চটি তামিমেরই অপরাজিত ৮৮। সেটি তার শেষ ফিফটি। এদিন শুরুতে তামিম হারিয়েছেন সঙ্গী সৌম্য সরকারকে (১৫)। সাব্বির রহমানের সাথে হয়েছিল ৪২ রানের জুটি। সাব্বিরও ব্যক্তিগত ১৫ রানে ফিরেছেন। তবে পুরো ইনিংসে দারুণ খেলেছেন তামিম। সিঙ্গেলস-ডাবলসে বাংলাদেশের বড় দুর্বলতা। এই ম্যাচে রানিং বিটুইন দ্য উইকেট হয়েছে ভালো। বিশ্বের অন্যতম সেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান (৫) এদিনও কিছু করতে পারলেন না।

এক প্রান্তে তামিম দেখেছেন উইকেটের পতন। তাতে তার ছন্দে কিছুটা পতন তো হয়েছেই। কিন্তু চার ছক্কাগুলো মেরেছেন ডাচ বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়েই। ৩৬ বলে ৫০ করেছেন। শেষবার তামিম ফিফটি করেছিলেন ২০১২ সালে, ঢাকায়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। মাঝে ২২ ইনিংসে একটিও ফিফটির দেখা পাননি দুই ফরম্যাটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক!

বাংলাদেশ বড় হোচট খেয়েছে ১৫তম ওভারে। ১৪ ওভার শেষ। বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১০৯। তামিম ৬০ ও মাহমুদ উল্লাহ ৯ রানে ব্যাট করছেন। বাকি ৬ ওভারে নেদারল্যান্ডসের নাগালের বাইরে স্কোরটাকে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ। কিন্তু পেসার ফন ডার গাগটেন ওভারের তৃতীয় বলে বোল্ড করে দিলেন দারুণ ফর্মে থাকা মাহমুদ উল্লাহকে (১০)। পঞ্চম বলে নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমও (০) বোল্ড! চার ইনিংস পর আউট হলেন মাহমুদ উল্লাহ। মুশফিকের দুর্দশা চলছেই। আর এখানেই বিপদে বাংলাদেশ।

নাসির হোসেন নভেম্বরের পর আবার সুযোগ পেলেন নিজেকে প্রমাণের। কিন্তু প্রমাণ করতে পারলেন কই! পেসার ফন মিকেরেনের বলে চমকে উঠে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন নাসির (৩)। ১৮ ওভারে ৬ উইকেটে ১২৯ রান। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এসে একটি ছক্কা হাকিয়ে বিদায় নিলেন ব্যক্তিগত ৭ রানে। শেষ ওভারের প্রথম বলে তামিম বল পাঠালেন গ্যালারিতে। পরের বলে ১ রান। দুই বল ডট। আরাফাত সানি মারলেন ছক্কা! পেরুলো ১৫০। শেষ ওভারে ১৫ রান। দারুণ ফর্মে থাকা বোলারদের জন্য তোলা রইলো বাকি কাজ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top