সকল মেনু

ভোলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা, ভাঙচুর

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোলায় সহিংসতা চলছেই। ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগদলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লার নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা-ভাঙচুর, বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ক্যাম্পে পেট্রল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অবস্থিত নির্বাচনী ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগদলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ও একই দলের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী একে অপরকে দায়ী করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুইটি গুলির খোসা ও বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে একদল দুর্বৃত্ত সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ভোটের ঘর এলাকায় স্থাপিত আওয়ামী লীগদলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লার নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। তারা প্রথমে ওই এলাকায় বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে ওই নির্বাচনী ক্যাম্পের আসবাবপত্র ভেঙে পেট্রল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় একই দলের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী  কামাল উদ্দিন ওরফে সকেট কামালকে দায়ী করে আওয়ামী লীগদলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লা অভিযোগ করেন, জলদস্যু নামে খ্যাত সকেট কামাল ও তার ভাই সকেট জামালের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন ক্যাডার তাঁর নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালায়। তারা ক্যাম্পে গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ক্যাম্পের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে পেট্রল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

তবে, নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী কামালউদ্দিন ওরফে সকেট কামাল বলেন, “হামলা-ভাঙচুর, বোমা-গুলি ও অগ্নিসংযোগের বিষয়ে আমি কিংবা আমার কোন কর্মী-সমর্থক জড়িত নয়।” তিনি আরো বলেন, “আমাকে বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর জন্য আমার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগদলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লা নিজের নির্বাচনী ক্যাম্পে নিজেই এ ঘটনা ঘটিয়ে নাটক সৃষ্টি করছেন। পাশাপাশি আমাকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরানোর জন্য বিভিন্ন পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। একমাত্র আমার নেতা তোফায়েল আহমেদ না বললে আমি নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়াবো না।”

এ ব্যাপারে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মীর খায়রুল কবির জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বোমা সদৃশ একটি বস্তু ও শটগানের দুইটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে। তবে, এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top