সকল মেনু

২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবি

আবারও ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন। গতকালও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণবস্থান কর্মসূচিতে নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান এ দাবি উত্থাপন করেছিলেন।

বুধবার (৯ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ স্বাধীনতা হলে সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের আহ্বায়ক নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘২৫ মার্চের গণহত্যা শুধু এক রাতের হত্যাকাণ্ডই ছিল না, এটি ছিল মূলত বিশ্বসভ্যতার জন্য কলঙ্কজনক ও জঘন্যতম গণহত্যার সূচনা। ওই দিন পাকিস্তানিরা শুধু হত্যাই করতে চায়নি, বাঙালি জাতিসত্তাকে ধ্বংস করতে বর্বরোচিত হত্যালীলায় মেতেছিল। এমনকি এ গণহত্যার যেন কোনো সাক্ষী না থাকে সে জন্য বিদেশি সাংবাদিকদের ২৬ মার্চ ঢাকা থেকে বের করে দেয়া হয়।

‘কিন্তু গবেষণা-প্রকাশনা ও প্রত্যক্ষ সাক্ষীর জবানিতে এই ভয়ঙ্কর রাতসহ ৯ মাস নিরীহ বাঙালির ওপর পাকিস্তানিদের নির্মম গণহত্যার সাক্ষী পুরো বিশ্ব। শুধু ২৫ মার্চ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় এক লাখ মানুষ হত্যা করা হয়েছিল, যা গণহত্যার ইতিহাসে এক ভয়াবহ ঘটনা।’

তিনি বলেন, ‘একাত্তরের ওই দিনে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর চালানো গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ সব ঘটনাই ১৯৪৮ সালের ১১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত জেনোসাইড কনভেনশন শীর্ষক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে বর্ণিত সংজ্ঞায় পড়ে।’

স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর এসে এমন দাবি উত্থাপনের কারণ জানতে চাইলে সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, ‘এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তাই দেরি হলেও বিষয়টিকে প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা ধীরে ধীরে এগোচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সংসদ সদস্য শিরিন আকতার, সদস্য সচিব রোকেয়া প্রাচী ও কামাল পাশা চৌধুরী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top