সকল মেনু

এগিয়ে যাবে নারী

সেদিন একটি সেমিনারে কথায় কথায় এক বক্তা বললেন, আগের দিনে মহিলা(নারী)দের কাজ ছিলো শুধু সন্তান জন্ম দেয়া। এছাড়া কোনো অর্থনৈতিক বা সামাজিক উন্নয়নে নারীদের তেমন কোনো ভূমিকা ছিলোনা।

এসময় একজন পুরুষ সাংবাদিক বন্ধু, সেই বক্তাকে থামিয়ে দিয়ে বিনয়ের সঙ্গে বলেন, আজ যে আপনি এখানে কথা বলছেন, দেশ বিদেশে এতো নাম আপনার- এটা সম্ভব হতো না একজন নারী যদি আপনাকে জন্ম না দিতেন। আমরা মানুষ আর এই মানব সভ্যতা ধরে রেখেছেন নারীরাই। কারণ তারাই সন্তান জন্ম দেন আর নিজের জীবনের অনেক চাওয়াকে অপূর্ণ রেখেই সন্তানটিকে সমাজের জন্য যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন।

আসলেই তাই, নারীরাই অন্ধকারে আলো ছড়ায়, পথ দেখায়, আলোকিত করে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। যে নারী গর্ভধারিনী, যে নারী মমতাময়ী, যে নারীর জন্য যুগ যুগ ধরে বহমান আমাদের এই মানব সভ্যতা।

আজ এই একবিংশ শতাব্দীতে নারীরা স্বমহিমায় উজ্জ্বল। ৮ মার্চ সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। অন্তত একটা দিন গোটা বিশ্ব আলাদা করে মনে করে নারীরাই এই জগতের শক্তি আর প্রেরণার উৎস। বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদের ইতিহাস গর্বের, এতিহ্যের। আমাদের আজকের যে অবস্থান নারী মুক্তি, শিক্ষায়, পেশায়, সম্মানে নারীরা পৌঁছেছে তার পেছনে নারীদের ভূমিকা কম নয়। যুগে যুগে অনুপ্রেরণায় ভালোবাসায় আলো হাতে আমাদের জন্য পথ তৈরি করে চলেছেন আমাদেরই অগ্রজ নারীরা। তেমনি কয়েকজন:

বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন (ডিসেম্বর ৯, ১৮৮০- ডিসেম্বর ৯, ১৯৩২) উনবিংশ শতাব্দীর একজন খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক। তাকে নারী জাগরণের অগ্রদূতহিসেবে গণ্য করা হয়।
বিবি রাসেল

রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত বিবি রাসেলকে আলাদা করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। তিনি বিশ্ব ফ্যাশন জগতে নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। বিবি রাসেল আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশি ফ্যাশন মডেল এবং ডিজাইনার। তিনি আমাদের দেশীয় পণ্যকে দেশে এবং দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্ব দরবারে সম্মানজনক স্থানে তুলে ধরেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন চলার নামই জীবন, থেমে যাওয়া মানে মৃত্যু।

নিশাত মজুমদার, প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেছিলেন।

তারামন বিবি মাত্র ১৩ কিংবা ১৪ বছর বয়সে মহান মুক্তিযুদ্ধে ১১ নং সেক্টরে অস্ত্র হাতে অংশ নেন। তিনি ‘বীর উত্তম’ প্রতীক প্রাপ্ত।

যদিও নারীদের রাজনীতি এবং শাসন ক্ষমতায় আসার পেছনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পারিবারিক ঐতিহ্য কাজ করেছে। তবে তাদের নিজস্ব দক্ষতা, প্রজ্ঞার জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই ব্যক্তিত্ব।  দু’জনই তিনবার করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছেন।

সাফল্যের শীর্ষে আরহণকারী এই আলোকিত নারীরা আজ সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছেন বেছে নিচ্ছেন নানা চ্যালেঞ্জিং পেশা।

সব দেশেই নারীর সম্মান বেড়েছে। নারী তার অধিকারের কথা মুখ খুলে প্রকাশ করতে পারছে। অধিকার খানিক হলেও যে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। এবাবেই এগিয়ে যাবে নারী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top