সকল মেনু

কার্গো বিমান চলাচল স্থগিতের ঘোষণা হতাশাজনক

বিমানবন্দর নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের এভিয়েশন ও সিকিউরিটি টিমের  সঙ্গে কাজ করেছিল বাংলাদেশ। নিরাপত্তা ঘাটতি নিয়ে তাদের উদ্বেগ মেটাতে বিভিন্ন পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ কর্মীদের সঙ্গে আলাপে এ কথা বলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

বুধবার ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে সরাসরি কার্গো বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কথা জানা যায়। বিজ্ঞপ্তিতে ব্রিটিশ সরকারের বরাত দিয়ে বলা হয়, বারংবার বলা হলেও হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ঘাটতি না মেটানোয় সাময়িক এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তবে অন্য রুটে পণ্য পরিবহন বিমান চলায় কোনো বাধা নিষেধ নেই বলেও জানান হয় ওই ওয়েব সাইটে ‘বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট আপডেট’ প্রকাশিত সংবাদ বার্তায়।

এ নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন। ওই চিঠিতে বিমানবন্দর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা আবারো উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

একই কারণ দেখিয়ে গত বছরের নভেম্বরে ঢাকা থেকে সরাসরি পন্য পরিবহন বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল অষ্ট্রেলিয়াও। ওই নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল আছে।

বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছুদিন আগে বাংলাদেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তার গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাজ্য সন্তোয় জানিয়েছিল। গত মঙ্গলবার একনেক বৈঠকে বিমান বন্দরের নিরাপত্তা সরঞ্জাম ক্রয়ে ৯০ কোটি টাকার প্রকল্প পাস হয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যগামী পণ্য পরিবহন বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা `দুঃখজনক ও হতাশাজনক।’

মেনন বলেন,  বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে যুক্তরাজ্যে সরকার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দ্রুত তুলে নেবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top