সকল মেনু

বিএনপি আমলের নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়ে প্রশ্ন আ.লীগের

বিএনপির শাসনামলে নিয়োগ পাওয়া নির্বাচন কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপজেলা চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ। আর সেকারণে ইউপি নির্বাচনে বিএনপির আমলে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দলটি।

বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন।

বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দলের প্রধান ও আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ জানান, প্রকৃত ঘটনা অন্যভাবে ঘুরিয়ে যে নির্বাচন কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, তিনি ২০০৫ সালে নিয়োগকৃত, যিনি সম্পূর্ণভাবে একটি রাজনৈতিক দলের আদর্শিক কর্মী, তার সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরাখাস্ত করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অভিযোগ ছিল, এ ঘটনার সঠিক তদন্ত না করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির কথার ওপর ভিত্তি করে এ ধরনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে গিয়ে সরকারি দলের ওপর অতিমাত্রায় খড়গহস্ত হয়েছে।

গত ১ মার্চ ফুলগাজী উপজেলার সব ইউপির ভোট বন্ধ করে ইসি। এরপর ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিমকে অপসারণে স্থানীয় সরকার বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়।

এ বিষয়ে হানিফ জানান, ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছে, তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দিয়েছেন। ওই অভিযোগের কারণে কমিশন থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগে তাকে অপসারণের চিঠি দেয়া হয়। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

হানিফ দাবি করেন, ‘আমরা ইসিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ফেনীর ফুলগাজীতে বিএনপির আভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে। ওই জায়গায় দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে দ্বন্দ্ব রয়েছে। বিএনপির সভাপতি আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, সাধারণ সম্পাদক আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে অন্য দলের লোকদের মনোয়ন দিয়েছেন। এটা নিয়ে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। এর বহিঃপ্রকাশ হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটতে পারে।’

দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া নির্বাচন কর্মকর্তারাই ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে বলেন হানিফ।

বিএনপির শাসনামলে ২০০৫ সালে বিচারপতি এমএ আজিজ কমিশনের সময় ৩২৭ জন নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। পরবর্তীতে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ এসব কর্মকর্তাদের নিয়ে অভিযোগ তুলে।

এর পরিপ্রেক্ষিত্রে এটিএম শাসুল হুদার কমিশন পুনরায় পরীক্ষা নিয়ে সিংহভাগ কর্মকর্তাদের পুনর্বহাল করেন। প্রায় ৮৫ জন কর্মকর্তা বাদও পড়েন ওই বাছাই পরীক্ষায়। পরে মামলা করে চাকরি ফিরে পান তারা।

জানতে চাইলে প্রতিনিধি দলে থাকা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের অনুসারী অন্তত ৮৫ কর্মকর্তা এখনো ভোটের দায়িত্বে আছেন। এ বিষয়টিও ইসির নজরে আনা হয়েছে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top