Thursday , June 1 2023
প্রচ্ছদ / খেলা / তাসকিনকে সাহস জোগাচ্ছেন সবাই

তাসকিনকে সাহস জোগাচ্ছেন সবাই

বয়স মাত্র ২০। সমস্যা যা থাকার এখন ধরা পড়লেই ভালো! শুধরে নেয়া যাবে। এই ঘটনা ক্যারিয়ারের মাঝামাঝি বা আরো পরে যদি হতো? খেলোয়াড়ি জীবনটাই হয়তো হুমকির মধ্যে পড়ে যেতো। নিজেকে এভাবেই বুঝিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। তরুণ এই পেসার তাই আইসিসির দেয়া অবৈধ অ্যাকশনের সন্দেহের তীরে সেভাবে বিদ্ধ নন। পরিবার থেকে সাহস পাচ্ছেন। দল থেকে সাহস দেয়া হচ্ছে। ক্রিকেট গুরুরাও বাড়িয়েছেন হাত। সমর্থকরা তো সমর্থনে সমর্থনে উজ্জীবীত করছেন। তাসকিনের তাই ভয়ের কিছু নেই।

কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহের কথাই ধরুন। তাসকিন ও স্পিনার আরাফাত সানির পাশে দাঁড়াতে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসিকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছেন। সোজা বলে দিয়েছেন, তাসকিনদের অ্যাকশনে কোনো সমস্যা দেখেন না তিনি। এদের অ্যাকশন নিয়ে আইসিসি প্রশ্ন তুললে আইসিসির কাজ কারবার নিয়ে তিনিও প্রশ্ন তুলতে পারেন!

২০১৪ সালের জুনে বিস্ফোরণের মতো ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক টিনেজার তাসকিনের। ৫ উইকেট নিয়ে ভারতকে ধ্বসিয়ে দিয়েছিলেন। তার আগেই খেলেছেন বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টি। তারপর কেটে গেছে দুটি বছর। এর মধ্যে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছেন, খেলেছেন এশিয়া কাপ। ১৪টি ওয়ানডে ও ৯টি টি-টোয়েন্টির (নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ বাদে) অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। আইসিসির আম্পায়াররা এতদিন পর সমস্যা খুঁজে পেলেন ডান হাতি এই পেসারের অ্যাকশনে!

অনূর্ধ্ব-১৭ ক্রিকেটে খেলার সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নজর দেয় তাসকিনের ওপর। শুরুতে অ্যাকশনে সামান্য সমস্যা ছিল। ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে তাসকিনের সেই সমস্যা শুধরে দেয়া হয়েছিল। সেভাবেই সাবলীল চলছিল তাসকিনের ক্রিকেটের দিন-রাত্রি। ধর্মশালায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ৭ দিনের মধ্যে পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্র ভারতের চেন্নাই। তাসকিনের গুরুরা অভয় দিচ্ছেন। বলছেন, সহজেই পরীক্ষায় পাশ করে যাবেন। বাবা-মা বলছেন, ভয়ের কিছু নেই। আল্লাহ যা করেন তার মধ্যে ভালো কিছু থাকে।

তাসকিনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে লাইক ৯ লাখের বেশি। সেই সংখ্যাটা এখন আরো বাড়ছে। সমর্থক-ভক্তরা তাসকিনকে অভয় দিচ্ছেন। কেউবা মন্তব্যে লিখছেন, এটা ভারতীয় ষড়যন্ত্র। কেউ লিখছেন আইসিসির ষড়যন্ত্র। কেউবা বুক ফুলিয়ে তাসকিনকে পরীক্ষার ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে বলেছেন। ছাড়পত্র নিয়ে হাসতে হাসতে বেরিয়ে আসার আশার কথা শুনিয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে ২০১৪ সালে আল আমিন হোসেনের কথা টানা হচ্ছে। আল-আমিনের অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু চেন্নাই থেকেই পরীক্ষায় উৎরে এসে এখন বাংলাদেশ দলের নতুন বলের বোলার, অপরিহার্য একজন। গোটা দেশের ক্রিকেট ভক্তরাও যে তার পাশে আছেন তা নিশ্চয়ই ধর্মশালা থেকে অনুভব করতে পারছেন তাসকিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.