সকল মেনু

নতুন চাকরিতে যে ৯ বিষয় করতে নেই

নতুন চাকরিতে প্রবেশ করা একইসঙ্গে হতে পারে একটি মজার কিংবা প্রচণ্ড মানসিক চাপের বিষয়। আপনার নতুন চাকরিতে বহু মানুষের দেওয়া নতুন সব তথ্য আত্মস্থ করার প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়া রয়েছে অফিসের বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে মানিয়ে চলার মতো দুরূহ কাজ। আর এ কাজটি করতে গিয়ে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংযমের প্রয়োজন রয়েছে। এ লেখায় রয়েছে তেমন কিছু বিষয়।
১. পুরনো চাকরির মতো কাজ
আপনি নতুন একটি চাকরিতে গিয়ে যদি পুরনো কর্মস্থলের মতো করে কাজ করতে থাকেন তাহলে তা মোটেও প্রশংসনীয় হবে না। নতুন কর্মস্থলে গিয়ে নতুন নিয়োগকর্তার মত অনুযায়ী কাজ করাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। এক্ষেত্রে পুরনো চাকরির দোহাই দেওয়া ঠিক নয়।
২. নতুন কর্মস্থলের সমালোচনা
প্রত্যেক কর্মস্থলই ভিন্ন। এক্ষেত্রে নতুন কর্মস্থলে গিয়ে সেখানকার কর্মী বা কাজের পরিবেশ নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য বা সমালোচনা কারোই পছন্দ হবে না। এতে কর্মস্থলে সমস্যাও হতে পারে। তাই এসব বিষয় এড়িয়ে চলতে হবে।
৩. অযাচিত পরামর্শ
নতুন কর্মস্থলে গিয়ে সবার আগে তাদের কাজের ধারা সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। তারা কোনো বিষয়ে জানতে না চাইলে সে বিষয়ে পরামর্শ না দেওয়াই ভালো। এখানে অযাচিত কোনো পরামর্শ আপনার ক্ষতির কারণ হতে পারে।
৪. নিজের গুণকীর্তন
নতুন কর্মীদের কাছ থেকে যে কোনো প্রতিষ্ঠানই আশা করবে তাদের নির্দিষ্ট নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা। এক্ষেত্রে আপনি যদি নিজের গুণকীর্তন করেই সময় কাটান সেটা কোনোভাবে গ্রহণীয় হবে না।
৫. কর্তৃত্বপরায়ণতা
নতুন কর্মস্থলে আপনি যত বড় পদেই অধিষ্ঠিত হন না কেন, অন্য কর্মীদের যথাযথভাবে সম্মান প্রদর্শন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অন্য কর্মীদের প্রতি আপনি যদি কর্তৃত্বপরায়ণ হয়ে ওঠেন তাহলে তা আপনার সুনাম নষ্ট করবে এবং আপনি অন্যদের বিরাগভাজন হয়ে উঠবেন।
৬. অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন
প্রত্যেক অফিসেই কাজের ধরন আলাদা। নতুন কর্মস্থলে আপনি যোগদান করার পর যে কোনো পরিবর্তনের আগে সবকিছু ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত। যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন করার আগে জেনে নেওয়া উচিত এ পরিবর্তনের প্রভাব কী হতে পারে।
৭. চাকরি নিয়ে হতাশা প্রকাশ
আপনি যদি নতুন চাকরিতে ঢুকেই কোনো একটি বিষয়ে বিরক্ত হয়ে সে চাকরি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন তাহলে তা কর্তৃপক্ষের বিরক্তির কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে কিছুটা ধৈর্য ধরাই বুদ্ধিমানের কাজ।
৮. জব অফার পরিবর্তনের চেষ্টা
কোনো একটি চাকরিতে ঢোকার আগেই আপনার বেতন-ভাতা, কর্মঘণ্টা ইত্যাদি বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের পর কিছুদিন এ বিষয়ে কথা না বলাই ভালো।
৯. সহকর্মীদের ত্রাতা মনোভাব
কোনো একটি প্রতিষ্ঠানে আপনি সহকর্মীদের উদ্ধার করতে জয়েন করেছেন, এমনটা মনে করা ভুল। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, তারাও আপনাকে নিয়োগ করেছে তাদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য। নতুন প্রতিষ্ঠানে আপনার ভূমিকা হওয়া উচিত তাদের সহযোগী হিসেবে, ত্রাতা হিসেবে নয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top