সকল মেনু

মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষক আটক

জেলার নন্দীগ্রামে মরিয়ম খাতুন (১১) নামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়া ধর্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

শনিবার রাতে উপজেলার থালতা মাজগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রোববার ভোর রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।

হত্যাকাণ্ডের শিকার মরিয়ম থালতা মাজগ্রাম এলাকার দিনমজুর জামেদ আলী ওরফে একছার আলীর মেয়ে এবং থালতা মাজগ্রাম ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মরিয়মের সঙ্গে একই গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে ফরিদ মিয়ার (২৮) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শনিবার রাতে মরিয়মের বাবা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ফরিদ মিয়া তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে মরিয়মের বাবা বাড়িতে আসলে ফরিদ মিয়া জানালা ভেঙে পালিয়ে যায়।

এ সময় গুরুতর অবস্থায় মরিয়মকে উদ্ধার করে প্রথমে দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।

নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান শামীম ইকবাল জানান, ধর্ষণের ফলে রক্ত ক্ষরণে মেয়েটি মারা গেছে নাকি তাকে অন্য কোনোভাবে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। ধর্ষক ফরিদকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top