সকল মেনু

তৈরি হচ্ছেন তাসকিন

পুনরায় বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছেন তরুণ ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ। গতকাল শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন উপস্থিত সংবাদমাধ্যমকে। গেল টি২০ বিশ্বকাপ চলাকালে তাসকিনকে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আইসিসি। সঙ্গে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানিও। যে কারণে বিশ্বকাপে প্রথম পর্বে তিনটি ও মূল পর্বে মাত্র একটি ম্যাচের পর আর বাংলাদেশের ডাগআউটে থাকা হয়নি তাদের।

প্রথম পর্বে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করার পর পরই তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন ওই ম্যাচে দায়িত্বরত আম্পায়াররা। পরে, চেন্নাইতে আইসিসি স্বীকৃতি বায়োমেকানিক ল্যাবে পরীক্ষা দিলে তার বাউন্সার ডেলিভারিগুলোতে সন্দেহ পোষণ করে তাকে বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ করা হয়। পুনরায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে হলে তাকে বোলিং অ্যাকশন শোধরানোর পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে হবে। আরও একবার সেই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে তরুণ এই পেসারের ক্যারিয়ারই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবে। একই কথা সানির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হলেও, আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, বিসিবির অনুমতি সাপেক্ষে এই বোলার ঘরোয়া লীগে খেলতে পারবেন। ২১ বছর বয়সী ডানহাতি ফাস্ট বোলার তাসকিন আসন্ন ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে খেলছেন কাগজে-কলমে শক্তিশালী এক দল গড়া আবাহনীর হয়ে। গতকাল শুক্রবার ক্লাবের হয়ে অনুশীলনে আসা তাসকিন তার বোলিং অ্যাকশন শোধরানোর প্রস্তুতি ও পরীক্ষা দেওয়ার চিন্তাভাবনা সম্পর্কে বললেন, ‘পরীক্ষা তো দিতেই হবে। তার থেকেও বড় বিষয়, আগামী সপ্তাহ থেকে প্রিমিয়ার লীগ শুরু। পরীক্ষা নিয়ে বেশি চিন্তা করছি না। কারণ, আমার গুরুতর কোনো পরিবর্তন নেই। বিসিবি যে পরিকল্পনা দিয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করছি। আবাহনীতে যারা আছেন, সবাই সাহায্য করছেন। এখন লক্ষ্য, প্রিমিয়ার লীগটা ভালো খেলার। লীগ শেষে ওটা নিয়ে চিন্তা করব। বিসিবি যখন চিন্তা করবে পাঠানোর, তখন পরীক্ষা দিয়ে আসব। আশা করি ভালো কিছুই হবে।’

পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা না করলেও তাসকিনের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য যে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সেটা ভারত থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। প্রিমিয়ার লীগও সেই পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই তিনি খেলছেন। লীগে অবশ্য যতটা না অ্যাকশন নিয়ে ভাবনা-চিন্তা, তার চেয়ে অনেক বেশি পারফরম্যান্স নিয়ে সচেতন তাসকিন। তার কথা হলো, ‘চেষ্টা করব নিজের সেরাটা দেওয়ার। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় লীগ ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ। এখানে সবারই লক্ষ্য থাকে ভালো কিছু করার। এখানকার পারফরম্যান্স অনেক বেশি গ্রাহ্য হয়।’

আবাহনী-মোহামেডানের মতো দলে খেলতে পারা অনেক ক্রিকেটারের জন্যই স্বপ্নপূরণের মতো। বাবার স্বপ্ন ছিল যে, ছেলে আবাহনীতে খেলুক। তাসকিন সেটাই জানালেন অকপটে, ‘যখন ছোট ছিলাম, তখন থেকেই শুনে আসছি আবাহনী-মোহামেডান লড়াই। এবার সুযোগ হয়েছে আবাহনীতে খেলার। এটাকে স্বপ্নপূরণও বলতে পারেন। আমি আবাহনীতে খেলব, বাবারও এমন ইচ্ছা ছিল। চেষ্টা করব দলকে ভালো কিছু দেওয়ার।’

আবাহনীতে এবার প্রাইম ব্যাংক থেকে কোচ হয়ে এসেছেন জাতীয় দলের ম্যানেজার ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। তার অধীনে খেলতে পারাটাকেও বড় প্রাপ্তি হিসেবে মনে করছেন তাসকিন, ‘মনে হচ্ছে একজন অভিভাবকের দলে খেলছি। জাতীয় দলের নেটে যখন আমি অনূর্ধ্ব-১৫-তে খেলি তখন থেকেই তিনি আমাকে দেখে আসছেন। তিনি জানেন, কী করলে ভালো ফল দিতে পারি। আবাহনীতে খেলব আর কোচও সুজন স্যার_ আশা করছি ভালো কিছুই হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top