ঢাকা: সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ কবে খেলেছেন সেটি মনে করতে পারছিলেন না নাসির হোসেন। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে নেমেছিলেন নাসির। প্রথমদিন খেলা হওয়ার পর বৃষ্টি কেড়ে নেয় পরের তিন দিন। চতুর্থ দিনের মাথায় ‘ড্র’ হয়ে যায় ম্যাচটি। ওই টেস্টে আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন নাসির হোসেন।
বাংলাদেশ দলের সর্বশেষ টেস্ট ওটিই। অর্থাৎ এই এক বছরে বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেট খেলেনি মুশফিকুর রহিমের দল। নাসিরের ভুলে যাওয়া তাই অস্বাভাবিক নয়!
লম্বা বিরতির পর টেস্ট খেলা কতটা কঠিন, সেটি বলতে গিয়ে নাসির নিজেই মনে করতে পারলেন না, সর্বশেষ কবে তিনি টেস্ট খেলেছেন, ‘আমি সর্বশেষ কবে টেস্ট খেলেছি, মনে নেই!’
আগামী অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজে তিনটি ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। প্রায় ১৪ মাস পর টেস্ট খেলতে নামাকে বেশ কঠিন মনে করছেন নাসির হোসেন, ‘টেস্ট অবশ্যই কঠিন। বাংলাদেশে হলে ঠিক আছে। আর যদি বাইরে হয় বাংলাদেশের জন্য একটু হলেও কঠিন। তবে, এবার আমাদের জন্য অনেক কঠিন হবে টেস্টটা। আমরা যতো বেশি টেস্ট খেলবো ভালো করার সুযোগ ততো থাকে। তো একটু হলেও কঠিন হবে।’
বাংলাদেশ দল সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছে গত বছরের নভেম্বরে, ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সে হিসেবে ১০ মাস বিরতির পর ওয়ানডে খেলতে নামবে টাইগাররা। তারপরও ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ভালো করবে বলে আশাবাদী নাসির জানান, ‘আমার মনে হয় না খুব বেশি সমস্যা হবে। কারণ ওয়ানডেতে নামার আগে আমরা প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলবো। আমি মনে করি ম্যাচ প্র্যাকটিস হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্র্যাকটিস। আমি যতটুকু জানি সিরিজের আগে আমরা নিজেদের মধ্যে পাঁচ-সাতটা ম্যাচ খেলবো।’
ইংল্যান্ড সিরিজকে সামনে রেখে মিরপুরে প্রতিদিনই অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। প্রথম দুই সপ্তাহ যাবে ফিটনেস ট্রেনিংয়ে। বিদেশি কোচিং স্টাফরা চলে এলে শুরু হয়ে যাবে ব্যাট-বলের স্কিল অনুশীলন। প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকা ৩০ ক্রিকেটার নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। ফিটনেস, স্কিল ট্রেনিংয়ে কতটা উন্নতি হলো তার প্রতিফলন দেখা যাবে ম্যাচে। আর তা দেখেই নির্বাচকরা ঘোষণা করবেন ওয়ানডে ও টেস্টের স্কোয়াড।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।