সকল মেনু

জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে ডিসিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ঢাকা: জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নজরদারিসহ সরব থাকার পরামর্শ দেন।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের প্রথমদিন মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে ডিসি সম্মেলন উদ্ধোধনের পর মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মুক্ত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। ফেসবুকসহ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজর রাখতে হবে। যেনো কোথাও কেউ নতুন লোক দেখলে, অপতৎপরতা দেখলে প্রশাসনকে দ্রুত খবর দিতে পারে।

এজন্য পারস্পারিক সম্পর্ক বাড়াতে জনবান্ধবমুখী হতে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জঙ্গি অপতৎপরতা মোকাবলার পরামর্শ দেন তিনি।

মুক্ত আলোচনায় ১৬ জন জেলা প্রশাসক ও চারজন বিভাগীয় কমিশনার বক্তব্য রাখেন। এছাড়া মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন অন্যান্য জেলা প্রশাসক।

প্রধানমন্ত্রী মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বলেন, যেনোতেনোভাবে কোনো প্রকল্প নেবেন না। এতে একদিকে সরকারের অর্থ অপচয় হয়। অন্যদিকে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের পকেট ভারী হয়।

প্রধানমন্ত্রী অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প না নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, বড় বড় জায়গা থেকে প্রকল্প নেওয়ার ডিও আপনাদের কাছে যেতে পারে। তা দেখেই প্রকল্প নিতে ব্যস্ত হবেন না। প্রকল্প নেওয়ার যৌক্তিকতা দেখে ব্যবস্থা নেবেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে এলাকার মানুষ উপকৃত হবে কিনা তা দেখবেন।

মুক্ত আলোচনায় মাদক চোরাচালান এবং এর অপব্যবহার বন্ধের নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্পাঞ্চলে শান্তি রক্ষা, পণ্যপরিবহন ও আমদানি নির্বিঘ্ন করতে হবে। এজন্য চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, পেশিশক্তির ব্যবহার করে সন্ত্রাস করতে দেবেন না।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, জঙ্গি প্রতিরোধ কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতিহাস ও ঐতিহ্য পাঠদান করা হয় না, সেসব প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা জঙ্গি তৎপরতায় লিপ্ত হচ্ছে।

মুক্তআলোচনায় ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার হেলাল উদ্দিন বলেন, মোবাইল কোর্ট আইন সংশোধনের পাশাপাশি এর কার্যপরিধি বাড়ানো প্রয়োজন।

রাজবাড়ী জেলাপ্রশাসক জিনাত আরা বলেন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মধ্য দিয়ে জনগণ উপকৃত হচ্ছে। আইন সংশোধনের মাধ্যমে মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা কামনা করছি।

দ্বিতীয় পদ্মা সেতু করার দাবিও জানান তিনি।

হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বলেন, অন্যান্য সমস্যারগুলোর মধ্যে বালুমহল ইজারা দেওয়ার সমস্যা গুরুত্বর্পূণ। এই বালু মহল দখলকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। কেউ ইজারা নিয়ে আদালতে মামলা ঠুকে দিলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া যায় না।

এ ধরণের মামলা নিরসনে প্রতি জেলায় বিশেষ আদালত থাকার প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

চট্টগ্রাম বিভাগের  এক জেলা প্রশাসক বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা একটি জটিল বিষয়, এটিকে এক ছাতার তলে আনা দরকার। ভূমি ব্যবস্থাপনার কাজ এক ছাতার নিচে আনা গেলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে। মামলা দায়েরের ঘটনাও কমবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top