সকল মেনু

মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণকারীরা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসুক – নিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকৃতভাবে মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণকারীদের ছাত্রলীগের নেতৃত্বে দেখতে চান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক উপ-সম্পাদক ইমরুল হাসান নিশু।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে বিবিএ-এমবিএ শেষ করা ছাত্রলীগের মাস্টার দা’ সূর্যসেন হলের সাবেক এই সহ-সভাপতি নিশু বলেন, ‘‘প্রকৃতভাবে যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত তাদেরই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে দেখতে চাই। কারণ স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতির মুলভিত্তি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ। তাই প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতি আবর্তিত হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাধারণ ছাত্রছাত্রীর কল্যাণে। এছাড়াও পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্য সম্পূর্ণ মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন, প্রজ্ঞাবান ও ব্যক্তিত্বসম্পূর্ণ, শিক্ষার্থী ও কর্মীবান্ধব নেতৃত্ব এখন সময়ের দাবি।’’
নিশু বর্তমানে ডেফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটি থেকে এমবিএ করছেন। গ্রামের বাড়ি মাদারিপুর। নিশুর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক হিসেবে ৮নং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর সহকর্মী হিসেবে ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে তিনি উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নিদের্শনায় চরগোবিন্দপুর উচ্চবিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক আব্দুর রাজ্জাক শিকদারের নেতৃত্বে পাঁচখোলা ও খোয়াজপুর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন এবং প্রাথমিক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। তাঁর নেতৃত্বে ২৭ সদস্যের একটি দল ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে যান। পরবর্তীতে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
আব্দুল খালেক ১৯৯৪-১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বীর এই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ইমরুল হাসান নিশু বলেন, ‘‘রাজনৈতিক পরিবারের বেড়ে ওঠার কারণে কিশোর বয়সে রাজনীতির সংস্পর্শে আসি। ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামীলীগের কার্যক্রম কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল। এছাড়াও স্কুলে অধ্যয়নকালীন সময় স্থানীয় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের মিটিং ও মিছিলে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করি। আজও মনে পড়ে আওয়ামীলীগ নেতা শাহ্ এম.এস কিবরিয়া হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের মিছিলে স্কুল চলাকালীন সময় ক্লাস বাদ দিয়ে মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলাম।’’
ইমরুল হাসান নিশুর পিতা মাদারীপুর সদর উপজেলা ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড’ এর উপজেলা কমান্ডার হিসেবে ২০১৩-২০১৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও ২০১০-২০১৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন মাদারীপুর জেলা ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড’ এর জেলা কমান্ডার (অর্থ) হিসেবে।
মুক্তিযোদ্ধার পিতার কাছে ইতিহাস শুনেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে পাড়ি জমান নিশু। ছাত্রলীগের আসন্ন ২৯তম জাতীয় সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন এই ছাত্রনেতা।
ছাত্রলীগের আদর্শকে আমৃত্যু ধারণ করতে চান নিশু। তিনি জানান, ‘‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের সাথে আমার পরিচয় একটু ভিন্ন। স্কুলে পাড়ি জমানোর পূর্বেই মুক্তিযোদ্ধা পিতার কাছে বঙ্গবন্ধু, একাত্তর, আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের ইতিহাস শুনে বেড়ে ওঠা। তাই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ধারণ করে শিশু বয়সে আমার পথ চলা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমি ছাত্রলীগের ছায়াতলে এসেছি। আমৃত্যু এই আদর্শ ধারণ করেই বেঁচে থাকতে চাই।’’
গত ৫ই জানুয়ারি ২০১৪ সালের নির্বাচনের পূর্বে ও পরে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও পেট্রোল বোমার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের সকল কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে চলমান গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে অগ্রসৈনিক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন এই তরুন ছাত্রনেতা।
তিনি বলেন, ‘‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ গ্রহনের উপযোগী, বিশেষ করে বিগত নির্বাচনে যারা মাঠে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে এবং সাংগঠনিক ভাবে দক্ষ, বিচক্ষণ ও স্বচ্ছ তাদের নেতৃত্বের বিকল্প নেই। রাজনীতিতে যারা ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়ার হিসেব কষে আসেনি তারাই আমার মতে যোগ্যতা সম্পূর্ণ। এক্ষেত্রে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া আদর্শই হোক ছাত্রলীগের মুলভিত্তি ও পথের দিশা।’’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top