সকল মেনু

মুজিবর্ষ নিয়ে লম্ফ-ঝম্ফ না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

কাগজ প্রতিবেদক প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে কেউ যেন অতি উৎসাহী হয়ে লম্ফ ঝম্ফ না করেন সেজন্য দলীয় সংসদ সদস্যদের সর্তক হতে হবে। একটা বিষয় মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল সেটা আমরা দেখেছি, সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। এমপিদের সঙ্গে যেন দলের দুরত্ব তৈরি না হয়। সেই সঙ্গে মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন জনগণের কাছে তুলে ধরবেন।’

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে সংসদ ভবনের ৯ম তলায় সরকারি দলের সভা কক্ষে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় এই নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। সভাশেষে কয়েকজন সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

এসময় সংসদে অনুপস্থিত থাকেন এমন সদস্যদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে তাদের সতর্ক করে বলেন, বিশেষ করে আমার পিছনে ও আশেপাশে যারা (মন্ত্রীরা) বসেন, তারা যদি নিয়মিত না আসতে পারে, তাহলে বাইরে একটা ম্যাসেজ যায়, সংসদ সদস্যরা পার্লামেন্টের প্রতি ততটা আগ্রহী নন। কিন্তু আমি তো নিয়মিত আসি। যদি আমার পাশের এসব মন্ত্রীরা নিয়মিত না আসতে পারেন, তাহলে তাদের আসনগুলো দুরবর্তি কোনো স্থানে দেয়ার জন্য চিপহুইপকে পরামর্শ দেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মুজিবর্ষে আমাদের লক্ষ্য হবে গৃহহীনদের গৃহ দেয়া। আপনারা নিজ নিজ এলাকায় জনগণকে আমাদের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরুন। তবে টিআর এর অর্থ দিয়ে মুর‌্যাল বানানোর প্রয়োজন নেই।

এমপিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মুজিবর্ষ উপলক্ষ্যে বিশেষ অধিবেশন বসবে। সেখানে যারা যারা বক্তব্য রাখবেন আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে স্পিকারকে অবহিত করতে হবে। আগামী ১৯ মার্চ সংসদ চত্তরে শিশুমেলা অনুষ্ঠিত হবে। সেই মেলায় সকল সংসদ সদস্যদের উপস্থিত থাকতে হবে।

মুজিববর্ষ উদযাপন নিয়ে তিনি আরো বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির অর্থ দিয়ে যেন কেউ ম্যুরাল তৈরি না করে। কেউ যেন অতি উৎসাহী হয়ে যত্রতত্র বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ না করে। বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের নীতিমালা মেনে মুর‌্যাল করতে হবে।

শেখ হাসিনা বৈঠকে জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ভুটানের রাজাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে আমরা স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করব। এটি যাতে পৃথিবীর সকল দেশের সংসদের স্পিকারের নিকট শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে পৌছানো হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে।

সভায় আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, সাবেক চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, এ কে এম শামীম ওসমান, গাজী শাহনেওয়াজ, মাজহারুল হক প্রধান, মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top