সকল মেনু

শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবন

প্রতিবেদক : বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি তিনি।

তার মেধা-মনন, সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদারমুক্ত গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। একসময়ের কথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’, দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত দেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাঙালি জাতি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংগ্রামমুখর বর্ণাঢ্য জীবনের কিছু অংশ নিচে তুলে ধরা হলো-

১৯৪৭: গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা এবং তার মা ফজিলাতুননেছা মুজিব ‘বঙ্গমাতা’ হিসাবে পরিচিত। পরিবারে পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় শেখ হাসিনা।

১৯৬৫: আজিমপুর গার্লস স্কুল থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের লেখাপড়া শেষ করেন।

১৯৬৭: তৎকালীন সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা কলেজ) থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের লেখাপড়া শেষ করেন। কলেজে ১৯৬৬-৬৭ সালে কলেজ স্টুডেন্ট ইউনিয়নের নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।

১৯৬৮: পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়াকে বিয়ে করেন তিনি।

১৯৭১: প্রথম সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ২৭ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৭২: মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ৯ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৭৩: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ শাখার সদস্য এবং রোকেয়া হল ছাত্রলীগ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।

১৯৭৫: কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য ১৫ আগস্ট ভোরে তার বাসায় অস্ত্রসহ হামলা চালায়। এ সময় তার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার মা, তিন ভাই, দুই ভাইয়ের স্ত্রী এবং বাড়িতে থাকা আত্মীয়দের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
এ সময় তিনি এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করার কারণে প্রাণে বেঁচে যান।

১৯৭৫-১৯৮১: তৎকালীন সরকার দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় বাধ্য হয়ে নির্বাসনে থাকতে হয় শেখ হাসিনাকে।

১৯৮১: দেশে না থেকেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা এবং একই বছর ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন তিনি।

১৯৮৩: হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মার্শাল ল এর বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য গণতন্ত্রপন্থি ১৫ প্রগতিশীল দল নিয়ে জোট গঠন করেন এবং আন্দোলন করেন।

১৯৮৪: এই বছরের ফেব্রুয়ারি ও নভেম্বরে তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়।

১৯৮৫: মার্চ থেকে মে পর্যন্ত তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top