সকল মেনু

জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন

ডেস্ক : জাপানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং বলেছে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ এবং তার নিজের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। শেখ হাসিনা বলেন, জাপানের শততম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনাকে নির্বাচিত করা হচ্ছে আপনার বলিষ্ঠ ও গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি এবং আপনার দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও ডেয়েটের ওপর জাপানের জনগণের বিশ্বাস ও আস্থার বহিঃপ্রকাশ।

এ সময় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে উভয় দেশের ভালো সম্পর্ক বজায় থাকার কথা তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন। আর এই সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে, পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেন, এই পরীক্ষিত মিত্রতা একটি ‘বিস্তৃত অংশীদারিত্বে’ পরিণত হয়েছে। এর মাধ্যমে তার সরকারের মাধ্যমে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ বৃদ্ধি পেয়ে আসছে।

তিনি বলেন, আমরা গভীর আগ্রহ নিয়ে আগামী বছর আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কেও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অপেক্ষায় রয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আশা করেন যে দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান আন্তরিক সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরো জোরদার হবে। শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে জাপানের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে উৎসাহ বোধ করেন। তিনি আনন্দের সাথে উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশে অনুকূল বিনিয়োগ পরিবেশ জাপানি কোম্পানিগুলোকে আকৃষ্ট করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন তাদের ব্যাপক অংশগ্রহণে উভয়পক্ষ লাভবান হবে। তিনি এই কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালে জাপান সরকার ও জনগণের সাহায্য-সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন তাদের ব্যাপক অংশগ্রহণে উভয়পক্ষ লাভবান হবে। তিনি এই কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালে জাপান সরকার ও জনগণের সহযোগিতা ও সাহায্যের কথা কৃতজ্ঞতাসহকারে স্বীকার করেন।

এই মহামারি কাটিয়ে ওঠার পর শেখ হাসিনা পারস্পারিক বিশ্বস্ত অংশীদারদের সাথে সম্পর্ক পুনঃনিযুক্ত, পুনঃবিবেচনা এবং পুনরুজ্জীবিত করতে উভয়দেশের প্রয়োজনীয়তার ক্ষেত্রে তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বিশ্বস্ত অংশীদার এবং শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও জাপান আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অঙ্গনে এবং বৈশ্বিক শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে পরস্পরকে সহযোগিতায় সর্বদা একসাথে কাজ করে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের সংকট সমাধানে আমরা অভিন্ন অবস্থানে রয়েছি। তিনি রাখাইনে তাদের পৈতৃক বাসস্থানে এসব গৃহহীন ও পীড়িত মানুষের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য আমি আপনার সহযোগিতা চাই।

প্রধানমন্ত্রী দুদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে ফুমিও এবং তার মন্ত্রিসভার সঙ্গে তার পূর্বসূরি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং ইশিহিদি সুগাদের মতোই ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি ফুমিও কিশিদার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং মঙ্গল এবং জাপানের ভ্রাতৃপ্রতীম জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top