সকল মেনু

বিশ্ব নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক : আমি বিশ্ব নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে পাঁচদফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছি।’ বুধবার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাম্প্রতিক জলবায়ু সম্মেলন ও ফ্রান্স সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে গত ৩১ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো যান। পরে সেখান থেকে লন্ডন ও প্যারিস সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে ফেরেন ১৪ নভেম্বর। প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি সম্মেলনে প্রধান কার্বন নির্গমণকারী দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অভিযোজন ও প্রশমনের জন্য আনুপাতিক হারে বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুত অর্থায়ন নিশ্চিত করা, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সমস্যার সমাধানে একযোগে কাজ করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলার কথা বলেছেন।

সরকার প্রধান বলেন, বিশ্বের সরকার প্রধানদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের দাবি-দাওয়া তুলে ধরে বক্তব্য দিয়েছি। সিভিএফ-এর সভাপতি হিসেবে একটি ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি প্যাক্ট গঠনের প্রয়াসের কথাও তুলে ধরি। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে আলোচনায় দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পরিধি ও গভীরতা আরও বাড়বে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এ ছাড়া বাণিজ্য নীতি, রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও আলোচনায় উঠে আসে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
এই বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করে জলবায়ু অভিযোজনে অর্থ ছাড়ের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য রুশনারা আলী ও লর্ড নিতেশ গারিয়ার আমন্ত্রণে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ অ্যাট ৫০, আ রেসিলিয়েন্ট ডেলটা’ শীর্ষক একটি কি-নোট উপস্থাপন করেন বলে জানান। লন্ডনের প্রকাশনা সংস্থা টেইলর এড ফ্রান্সিস কর্তৃক ইংরেজিতে অনুদিত ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অফ ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ এবং ‘মুজিব অ্যান ইনট্রোডাকশন’ বই দুটির মোড়ক উম্মোচন করেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

এরপর প্রধানমন্ত্রী ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কূটনৈতিক আলাপের প্রসঙ্গে বলেন। প্রতিরক্ষা ও অর্থনীতিসহ অন্যান্য খাতে দুই দেশের কার্যক্রম বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ফ্রান্সের ব্যবসায়ীদের একটি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে তাদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

ইউনেস্কো সদর দফতরে সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানেও যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের প্রেক্ষিতে এই পুরস্কার প্রবর্তন সবচেয়ে উপযুক্ত সম্মান। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top