প্রতিবেদক : আন্দোলনরত গার্মেন্ট শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারও উস্কানিতে আন্দোলনের নামে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করবেন না। কথায় কথায় রাস্তায় নেমে আন্দোলনের নামে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করবেন না। এতে গার্মেন্টসের উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। বেতন বাড়ানোর নামে আন্দোলন করতে গিয়ে শেষে গার্মেন্ট যেন বন্ধ না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। কেননা আপনাদের আন্দোলনের নামে গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ হলে, বেকার হতে হবে। তখন কি হবে। কাজেই সেদিকে খেয়াল রেখেই চলতে হবে। সবাই যেন ভাল থাকে সেটাই আমরা চাই।
আজ মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যোগ দেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজেই উস্কানি দিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিকদের রাস্তায় নামিয়ে যারা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে আমি নিরুৎসাহিত করবো। তাদের বিষয়ে জনগণকে সচেতন থাকতে হবে। তারা যেন কোনোভাবেই ফায়দা নিতে না পারে।
সবাইকে আবারও মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি বাংলাদেশে যেন সেই সংকট সৃষ্টি না হয়। হ্যাঁ এটা ঠিক আমাদের অনেক পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। সেজন্যই কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। কারণ বাড়তি দামেই আমাদের সেগুলো কিনতে হচ্ছে। এই যুদ্ধ চলার ফলে দাম আরো বাড়তে পারে কিনা সেটিও দেখার বিষয়। কাজেই আমি বলব আমাদের কে উৎপাদন বাড়াতে হবে। এক ইঞ্চি মাটিও ফেলে রাখা যাবে না। সব জায়গায় যেন চাষাবাদ করা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেই সঙ্গে সঙ্গে কোন খাবার যেন নষ্ট না হয়। সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকের টানা রাষ্ট্রক্ষমতায় আছে বলেই আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা সারা দেশে একের পর এক উন্নয়নগুলো করে যাচ্ছি। দেশবাসী আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় এনেছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমি দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাবো যে তাদের সমর্থন পেয়েছি বলেই আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করতে পেরেছি। ইনশাআল্লাহ ২৫ জুন আমরা এই সেতু উদ্বোধন করবো।