সকল মেনু

তারা আমাকে সরিয়ে দিতে চায়: প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘১৫ আগস্টের ঘাতকরা এখনো তৎপর।তারা আমাকে ও আওয়ামী লীগকে সরিয়ে দিতে চায়। বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নবনির্বাচিত বোর্ড সদস্যদের সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সাক্ষাৎকালে বোর্ড সদস্যরা বন্যা, করোনা, রোহিঙ্গাসহ দুর্যোগকালে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির তৎপরতা সম্পর্কে অবহিত করেন। তারা বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি প্রতিষ্ঠার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। একইসঙ্গে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের জঘন্যতম ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগকালে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় তিনি তরুণ প্রজন্মকে মানবতার সেবায় সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, দেশব্যাপী রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যক্রম বিস্তারে বরাবরের মতো সরকার ও তার ব্যক্তিগত সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। একইসঙ্গে আগামী চার বছরের জন্য আন্তর্জাতিক রেডক্রস সংস্থা আইএফআরসির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আব্দুল ওয়াহাবকে অভিনন্দন জানান।

১৫ আগস্টের দুঃসহ স্মৃতিচারণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘যে জাতির জন্য বঙ্গবন্ধু সারাটি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, সেই বাঙালি হয়ে কীভাবে ঘাতকরা জাতির পিতার বুকে গুলি চালিয়েছিল!’ আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘ঘাতকরা একসময় আমাদের বাসায় নিয়মিত আসা যাওয়া করত। আজও তারা তৎপর, আমাকে ও আওয়ামী লীগকে সরিয়ে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে এদেশের মানুষের কল্যাণ হয় না।’

এ সময় আবেগজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা রেডক্রস সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মানবতার কল্যাণে সেবা করার জন্য। পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার পর সেই রেডক্রসেরই এক টুকরো কাপড়কে কাফন বানিয়ে তাকে দাফন করা হয়েছিল।’

এ সময় হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের পুরোনো মর্যাদা ফিরিয়ে আনাসহ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটিকে আধুনিকীকরণের একটি পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দেন সরকারপ্রধান।

গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন- রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আব্দুল ওয়াহাবের নেতৃত্বে ভাইস চেয়ারম্যান নূরুর রহমান, ট্রেজারার এমএ সালাম, মহাসচিব কাজী সফিকুল আজম, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, এম মঞ্জুরুল ইসলামসহ অন্য বোর্ড সদস্যরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top