সকল মেনু

শিক্ষক হত্যায় একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্কুলশিক্ষক খান মোহাম্মদ আলাউদ্দীন হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া একই মামলায় একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বুধবার ঝিনাইদহের জেলা ও দায়রা জজ মো. নাজিমুদ্দৌলা এই রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, শৈলকুপা উপজেলার শিতালী গ্রামের গোলাম কুদ্দুস খানের ছেলে রান্নু খান, শামছুর রহমান খানের ছেলে জামাল খান ও তার ভাই কানু খান। আসামিদের প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি চল্লিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি একই গ্রামের ওমেদ আলী খানের ছেলে শামছুর রহমানকে আমৃত্যু দণ্ডের পাশাপাশি ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আসামিরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।

আদালতের দেয়া রায় সূত্রে জানা গেছে, সুপারি গাছের মালিকানা নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর এজাহারকারী শিউলী খাতুনের ভাসুরের ছেলে রিপন আনসারীকে বাড়িতে ঢুকে মারধর করে দণ্ডপ্রাপ্তরা। এ সময় স্কুলশিক্ষক খান মোহাম্মদ আলাউদ্দীন ভাতিজাকে ঠেকাতে গেলে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের স্ত্রী শিউলী খাতুন বাদী হয়ে ৭ জন আসামির নাম উল্লেখসহ আরও ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় মামলা করেন।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। আদালত ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে পিপি অ্যাড ইসমাইল হোসেন বাদশা, এজাহারকারীর পক্ষে অ্যাড. তারিকুল আলম ও আসামিপক্ষে অ্যাড. শামসুজ্জামান তুহিন মামলাটি পরিচালনা করেন।

রায়ের পর হতাকাণ্ডের শিকার খান মোহাম্মদ আলাউদ্দীনের ছেলে শৈলকুপার হাটফাজিলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম খান বলেন, চোখের সামনে আমার পিতাকে নির্মমভাবে হত‍্যা করা হয়। এই রায়ে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারিনি। তিনজন আসামিকে আদালত খালাস দিয়েছেন। তারা সরাসরি হত্যা মিশনে অংশ নিয়েছিল। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমার মা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top