ডেস্ক : একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনয়শিল্পী, নাট্যকার মাসুম আজিজ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম। তার মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুর আগে তিনি স্ত্রী এবং দুই সন্তান রেখে গেছেন।
এর আগে, হৃদরোগজনিত সমস্যার কারণে গত ৩ অক্টোবর হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় বরেণ্য এই অভিনেতাকে। সেসময় তার স্ত্রী সাবিহা জামান জানান, চলতি বছরের শুরুর দিকে মাসুম আজিজের ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। ১০ মাস ধরে তার চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে কয়েক দফায় হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন এই অভিনেতা।
মঞ্চ ও টিভি নাটকের গুণী এই অভিনয়শিল্পী ক্যানসারের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে হার্টের সমস্যায়ও ভুগছিলেন। ২০১৭ সালে তার হার্টে চারটি ব্লক ধরা পড়লে অস্ত্রোপচার করা হয়।
এদিকে, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ জানান, আজ সোমবার স্কয়ার হাসপাতালে রাখা হবে অভিনেতা মাসুম আজিজের মরদেহ। আগামী কাল মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অভিনেতা মাসুম আজিজের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৷ সর্বস্তরের জনগণ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। সেখানে অনুষ্ঠিত হবে তার প্রথম জানাজা। তবে মাসুম আজিজের দাফনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
উল্লেখ্য, অভিনয়ের পাশাপাশি মাসুম আজিজ চিত্রনাট্যকার ও নাট্যনির্মাতা হিসেবে পরিচিত। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তিনি থিয়েটারে কাজের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর ১৯৮৫ সালে প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেন। হুমায়ূন আহমেদের ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’, সালাউদ্দিন লাভলুর ‘তিন গ্যাদা’সহ অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
‘ঘানি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ২০০৬ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন মাসুম আজিজ। সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘সনাতন গল্প’ সিনেমার পরিচালক তিনি। এটি ২০১৮ সালে মুক্তি পায়। ২০২২ সালে একুশে পদক পেয়েছেন মাসুম আজিজ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।