সময়কন্ঠ প্রতিবেদক : জেসিআই বাংলাদেশের অন্যতম চ্যাপ্টার জেসিআই ঢাকা এস্পায়ার এর অন্যতম উল্লেখযোগ্য প্রজেক্ট ‘সেভ ওয়াটার, সেভ লাইফ’ সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। “পানির অতিরিক্ত ব্যবহার নয় এবং অপব্যবহার নয়!! নিশ্চিত হোক সচেতন ব্যবহার!’ এই মোটো এবং “আজকের আন্তরিকতা আগামীকালের সমৃদ্ধি” এই স্লোগান নিয়ে প্রজেক্টটি জেসিআই ঢাকা এস্পায়ার এর লোকাল ডাইরেক্টর আন্দ্রিয়াস আভাসের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হয়।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেসিআই বাংলদেশ এর ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট সাব্বির আহমেদ, জেসিআই ঢাকা এস্পায়ার এর লোকাল প্রেসিডেন্ট সামিয়া তাহসিন, লোকাল ভাইস প্রেসিডেন্ট রেদওয়ানুল ইসলাম, লোকাল ট্রেজারার রিয়াদ আনোয়ার, এবং সদস্য আবিবুর রহমান দিপ্ত । এই প্রজেক্টের অংশীদার ছিলো বাইকার্স হেডকোয়ার্টার। (BHQ)।
বাইকার্স হেডকোয়ার্টারের কর্নধার পারভেজ সরকার জানান, বর্তমানে প্রতি মাসে প্রায় ৩০০ জন বাইকারকে ওয়াশ ও সার্ভিস দিচ্ছে যার জন্য আনুমানিক ৬০০০ লিটার পানি ব্যবহার করছে। এখানে জেসিআই ঢাকা এস্পায়ার “স্টিম ওয়াশ প্রযুক্তি” চালু করছে যাতে বাইকার্স হেডকোয়ার্টারকে সর্বোচ্চ বাইক প্রতি ৫ লিটার, মাসিক ১৫০০ লিটার পর্যন্ত পানির খরচ বহন করতে হবে।
বাইকার্স হেডকোয়ার্টারের ওয়াসার পক্ষ থেকে কোনো আলাদা পানির লাইন নেই। বর্তমানে তারা ভূগর্ভস্থ পানির উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করছে।এই প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল
“স্টিম ওয়াশ প্রযুক্তি” যা তাদেরকে প্রতি মাসে শুধু ৪৫০০ লিটার পর্যন্ত পানি সাশ্রয় করতে সাহায্যই করবে না বরং একই পরিমাণ পানি ভূগর্ভে সংরক্ষণেও সাহায্য করবে। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে প্রতি মাসে ১১২৫ জন মানুষের খাবার পানির ব্যবস্থা করা যাবে। এসডিজির ৬ নম্বর লক্ষ্য পূরণে তাদের এই উদ্যেগ সফল হবে বলেই বিশ্বাস করেন তারা।
জেসিআই ঢাকা এস্পায়ার এভাবেই বিভিন্ন সমাজ আর দেশের জন্যে বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছে। এর ভেতরে ইফতার বিতরণ, বৃক্ষরোপণ, স্বাবলম্বীকরণ প্রজেক্ট অন্যতম। এভাবেই দেশ ও জাতির উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে জেসিআই বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।