দেশে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় আছে। সেই সঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টিরও আভাস রয়েছে। এর প্রভাবে কয়েক দিন ধরে রাজধানীসহ সারাদেশে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির এ ধারা ১১ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। অন্যদিকে, ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল পেরিয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত এবং এর একটি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের ওপর প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপ ও স্বাভাবিকের চেয়ে উঁচু জোয়ারের আশঙ্কায় দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। গভীর সাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিচ্ছে। এ সময়ে এটি শক্তিশালী আচরণ করে এবং প্রচুর বৃষ্টি ঝরায়।
আবহাওয়াবিদ ও কানাডার সাসকাচেওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর ও নেত্রকোনার ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে ভারী থেকে খুবই ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। মেঘালয় পর্বতের মধ্যে সবচেয়ে উঁচু পর্বতগুলোর মধ্যে একটি চোখপট নামক স্থান। এই স্থানেই সবচেয়ে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে এবং এই স্থানটি শেরপুর জেলার বিপরীতে। ফলে এখানে যে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে, তা দ্রুত নেমে আসছে শেরপুরের নদীগুলোতে পাহাড়ি ঢল আকারে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।