চট্টগ্রামের নিউমার্কেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৭০ দিন চিকিৎসারত থাকার পর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাউসার মাহমুদ। গত রোববার রাতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তার মৃত্যু হয়। বন্দর নগরীর আগ্রাবাদ মোগলটুলী এলাকায় বেড়ে ওঠা কাউসার লেখাপড়ার পাশাপাশি বাবা আব্দুল মোতালেবের মুদির দোকানে সময় দিতেন।
কাউসারের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাটরায়। বাবা আব্দুল মোতালেব পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ রোডে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন।
জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কাউসার মাহমুদ। ‘আসছে ফাগুন দ্বিগুণ নয়, ১৬ কোটি হবো’ ছিল কাউসারের শেষ ফেসবুক স্ট্যাটাস। ৪ আগস্ট নিউমার্কেট চত্বরে ছাত্র-জনতা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনে জমায়েত হন। ওইদিন পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি করে ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কাউসার। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় নগরের আগ্রাবাদে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। চিকিৎসকরা জানান, মারধরে গুরুতর আহত কাউসারের দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে৷
কাউসারের বন্ধু অনিক হাসান বলেন, পড়ালেখায় মেধাবী ছিল কাউসার। তার কোনো অহংকার ছিল না। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কাউসারের অগ্রণী ভূমিকা ছিল। তার অভাব কোনো দিন পূরণ হওয়ার নয়। তার স্মৃতি নিয়েই এখন বাঁচবে পরিবার, বাঁচব আমরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।