ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিলেই সব কিছুর সমাধান হয়ে যায়! চিন্তা করছি, প্রতিদিন একটা করে আমিও স্ট্যাটাস দেব’-দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে সাকিব আল হাসানের বিষয় নিয়ে এমন মন্তব্য করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
এমন মন্তব্যের পরেই শান্তকে নিয়ে চারদিকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সয়লাব হয় তার সমালোচনায়। এমনিতেই রান খরায় ভুগছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। অধিনায়ক হওয়ার পর পারফরম্যান্সের গ্রাফ যেন নিম্নমুখী। সব মিলিয়ে অধিনায়ক হিসেবে শান্তর যোগ্যতা নিয়ে সমালোচকরা প্রশ্ন তুলেন। যেটি তাকে প্রবল চাপে ফেলে দেয়। এরপরই আসে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত।
মাঠের অফফর্ম আর বাইরে প্রবল সমালোচনার মাঝে শান্ত বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব ছাড়ার কথা জানান। এই বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক পরিচালক রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘সে কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা করেছে নেতৃত্ব ছাড়া নিয়ে। আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানায়নি। সে চিঠি দেওয়ার পর স্পষ্ট হবে বিষয়টি আসলে কী। সে এক সংস্করণে ছাড়তে চায় নাকি তিন সংস্করণেই; সেটি চিঠি পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
বিসিবির আরেক পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের মতে অতিরিক্ত চাপই শান্তর না বলার কারণ, ‘তার মতো একজন খেলোয়াড় আমাদেরই কারণে অধিনায়কত্ব করতে পারছে না। আমাদের মতো দেশে অধিনায়ক হওয়া মানে সবসময় চাপে থাকতে হবে, তাকে নিয়ে আমরা যে পরিমাণ সমালোচনা করি, যেভাবে সমালোচনা করি, তার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভালো না খেলার কারণও হয়তো সেটা।’
শান্ত যদি এক সংস্করণে নেতৃত্ব ছাড়েন তাহলে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ছাড়ার সম্ভাবনাই বেশি। এ ছাড়া তার অধীনে বাংলাদেশ নয়টি টেস্ট খেলে জয় পেয়েছে তিনটিতে হেরেছে ছয়টিতে। অধিনায়ক হওয়ার পর টি-টোয়েন্টির মতো টেস্ট পারফরম্যান্সও নিম্নমুখী।
টেস্টে অধিনায়কত্ব ছাড়া শান্তর ব্যাটিং গড় ২৯.৮৩। আর অধিনায়ক থাকা অবস্থায় ২৫.৭৬। একমাত্র ওয়ানডেতে পারফরম্যান্সের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। ওয়ানডেতে ৯টি ম্যাচ খেলে তিনটিতে জয় আর হার ছয়টিতে। অধিনায়ক থাকাকালীন ওয়ানডেতে তার ব্যাটিং গড় ৫২.০০। আর না থাকা অবস্থায় ২৯.৪৪।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।