প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গড়িমসি এবং ভারত থেকে প্রযুক্তিপণ্য আমদানিতে জটিলতার কারণে সেতুর দুই পাশের স্টেশনে শুরু থেকে সিবিআইএস চালু করা যাচ্ছে না। ফলে এ সময়টাতে ট্রেনের গতি অনেক কম থাকবে। আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে সিবিআইএস চালু করা সম্ভব হবে।
রেলওয়ের তথ্যমতে, ডব্লিউডি-১ ও ডব্লিউডি-২ নামে দুটি প্যাকেজে পাঁচটি জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। সেতুর উভয় প্রান্তের দুই স্টেশনে ডব্লিউডি-৩ নামে অপর একটি প্যাকেজের আওতায় সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ করা হচ্ছে।
সিবিআইএস চালু করার কাজে জাপানি বহুজাতিক শিল্প প্রতিষ্ঠান হিটাচির সহায়তা নিচ্ছে রেলওয়ে। ভারতে হিটাচির পণ্য উৎপাদন কারখানা থাকায় জাপানি ঠিকাদাররা সেখান থেকেই পণ্য আমদানি করছিলেন। সম্প্রতি ঠিকাদাররা সেখান থেকে পণ্য আমদানি করতে কিছু জটিলতায় পড়েছেন।
সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান বলেন, নতুন সেতু দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সেতু উদ্বোধন হলেও কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলিঙ্ক সিস্টেম (সিবিআইএস) চালু করতে আরও দুই-তিন মাস সময় লাগতে পারে। আশা করি, মার্চ নাগাদ সিবিআইএস চালু হবে। আপাতত প্রথাগত নন-ইন্টারলিঙ্ক ব্যবস্থায় ট্রেন চালাতে হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।