সকল মেনু

আরেকটি নির্বাচন, আরো একবার অবিশ্বাসের বীজ রোপণ

ঈশ্বর নিজে ভোট গণনা করলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প নিশ্চিতভাবেই বলবেন, তিনি নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন (পরাজিত হওয়ার পর)। ট্রাম্প ইতিমধ্যেই দাবি করে বসে আছেন, আগামী সপ্তাহে হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ তাকে ক্যালিফোর্নিয়ার মতো ডেমোক্রেটিক পার্টির দুর্গেও সঠিক বিজয়ী হিসাবে প্রকাশ করবে। ট্রাম্পের এ ধরনের মন্তব্য আসলে দেখাচ্ছে কীভাবে তার নির্বাচনে কারচুপির মিথ্যা দাবিগুলো অযৌক্তিকতার রাজ্যের সীমানায় প্রবেশ করেছে।

চার বছর আগে নির্বাচনে কারচুপি করে তাকে ঠকানো হয়েছেন বলে দাবি করে ট্রাম্প কয়েক কোটি আমেরিকানের কাছে বাস্তবতা পরিবর্তন করেছিলেন। এবার তিনি আগেভাগেই ২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য একটি ভয়ঙ্কর হুমকি তৈরি করছেন এবং ভগ্ন বিশ্বাসের একটি ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। বিষয়টি তার নির্বাচনী মঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার অনেক পরে মার্কিন নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করতে পারে।

আধুনিক আমেরিকান ইতিহাসে সবচেয়ে কালো যুক্তি উপস্থাপন করার পর, ট্রাম্প এখন ক্রমবর্ধমানভাবে নির্বাচনে জনগণের আস্থাকে বিষিয়ে তোলার দিকে ঝুঁকছেন। বৃহস্পতিবার নিউ মেক্সিকোতে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প দাবি করেছেন, ২০১৬ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে তিনি এই রাজ্যে জয় পেয়েছিলেন (যা আদতে মিথ্যা)।

ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এখানে আমরা দুবার জিতেছি। যদি আমরা ঈশ্বরকে স্বর্গ থেকে নামিয়ে আনতে পারি এবং তিনি ভোটের গণনাকারী হতেন, আমরা এটি জিততাম, আমরা ক্যালিফোর্নিয়ায় জিততাম, আমরা অনেক রাজ্যে জয় পেতাম।’

পুরো বিষয়টির সারাংশ সিএনএনের বেশ কিছু প্রতিবেদনে উঠে এসেছে-

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি তদন্তে দেখা গেছে, রিপাবলিকান পার্টির যেসব কর্মী ২০২০ সালে বাইডেনের বিজয়কে পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিলেন তারাই এবারের নির্বাচনে ট্রাম্প পরাজিত হলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কয়েক ধাপের পরিকল্পনা তৈরি করছেন।

ট্রাম্প এবং রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির কর্মকর্তারা পেনসিলভেনিয়ায় ডাকযোগে ভোট দেওয়ার সম্ভাব্য সমস্যা সম্পর্কে ক্রমবর্ধমানভাবে দাবি তুলেছেন।

যুক্তরাষ্টের নাগরিক নন এমন ব্যক্তিরা ভোট দিচ্ছেন বলে আওয়াজ তোলা শুরু করেছেন রিপাবলিকানরা। আদতে তাদের এই দাবির কোনো অস্তিত্বই নেই।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম-এক্স এর মালিক এবং ট্রাম্প সমর্থক ইলন মাস্ক এক্স-এ ভুয়া তথ্য ছড়াতে একরকম সাহায্য করছেন। এই ভুয়া তথ্যের প্রচার ঠেকানো নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জন্য একরকম অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

মার্কিন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ট্রাম্পের এই মারমুখী পদক্ষেপ বিশ্বের কাছে একটি নতুন বাস্তবতা হাজির করতে যাচ্ছে। বিশ্বের কাছে যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেক দেশ-ই নিজেদের শাসনব্যবস্থার জন্য মার্কিণ গণতন্ত্রকে মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে তাদের কাছে নেতিবাচক বার্তা দিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top