সকল মেনু

বুটেক্স ও ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ২৮

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২৮ জন আহত হয়েছেন। সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে চলা এ সংঘর্ষের ফলে পুরো এলাকায় এখন থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দিনগত মধ্যরাতে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে আহতদের কতজন পলিটেকনিকের ও কতজন বুটেক্সের শিক্ষার্থী প্রাথমিকভাবে তা জানা যায়নি।

আহতরা হলেন- ইমন (২৪), উৎসব (২৮), আজাদ (২৮), বুলবুল (২৮), প্রশান্ত (২৮), শিশির (২৮), তৌফিক (২২), রুদ্র (২৬), আনান (২৫), জুনায়েদ (২৮), সৌমিক (২৮), ইমন (২০), নাহিদ (২৩), রাকিব (২০), ইমন (২২), প্রবাল (২২), রমজান (২৩), মো. মিঠুন (২১), ইমরান (২০), নাদিম (২০), ফাহাদ (১৯), খালেদ (১৯), সোহান (২২), আমিন (২২), রিফাত বিশ্বাস (২৫), তপু (২০), মেহেদি (২১) ও পার্থ (২৮)।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও বুটেক্স শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৮ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। জরুরি বিভাগের বিভিন্ন ওয়ার্ডে তাদের চিকিৎসা চলছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কথা কাটাকাটির জেরে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারি হয়। রাত ১০টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। একপর্যায়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে বিটাক মোড়ে অবস্থান নিয়ে উত্তর দিকে বুটেক্স এবং দক্ষিণ দিকে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেন।

সংঘর্ষস্থলে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমানকে কিছুদিন আগে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। তবে রোববার দুপুরে অধ্যক্ষ তার অনুসারী কিছু শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অধ্যক্ষের পক্ষের কিছু শিক্ষার্থীর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

শিক্ষার্থীরা জানান, রোববার দুপুরের এই ঘটনার বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লতিফ হলের পাশের রোডে শিক্ষার্থীরা বৈঠক করতে যান। তখন বুটেক্সের কিছু শিক্ষার্থীরা এসে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের এই স্থান থেকে সরে যেতে বলেন। কথা কাটাকাটির জেরে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এরপরে সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই বাঁশের লাঠি, রড, পাইপ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী শামীমুর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top