সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে গাজীপুরসহ সারা দেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু করেছে যৌথবাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগেই জানিয়েছিল, রাত ১২টা থেকে শুরু হবে বিশেষ এই আভিযান। গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর আওয়ামী লীগের হামলায় জড়িতের অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী। এদের মধ্যের ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয় রাতে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকেই গাজীপুরের বিভিন্ন সড়কে যানবাহনে তল্লাশি চালিয়েছে যৌথবাহিনী। ডিসি অফিসের সামনে চেকপোস্ট বসিয়েছে সেনাবাহিনী। মোটরসাইকেলসহ সড়কে চলাচল করা বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন সেনাসদস্যরা। এছাড়া সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অপরাধী ধরতে অভিযান শুরু করেছে বলে জানা গেছে। তবে সেসব অভিযান নিয়ে কোনো তথ্য দেননি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জেলার আরও একাধিক জায়গায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
রাত ১২টার পর থেকে চট্টগ্রাম ও রংপুর মহানগরে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশকেও দেখা গেছে। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিনের মতোই তারা টহল দিচ্ছেন। এর বাইরে, বড় অপরাধীদের ধরতে তারা অভিযান চালাচ্ছেন। সাতক্ষীরায়ও রাত ১২টার পর সড়কে দেখা গেছে সেনা সদস্যদের। সেনা সদস্যরা জানান, নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে তাদের কার্যক্রম চলছে। তবে অপারেশন ডেভিল হান্ট সম্পর্কে কোনো তথ্য দেননি তারা।
এদিকে, অপারেশন ডেভিল হান্টের রাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের দুই নেতা গ্রেফতার হয়েছে শেরপুরে। পুলিশ জানায়, শনিবার রাত আটটার দিকে ঝিনাইগাতি উপজেলার হাসলিগাঁও এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মাহমুদুল হাসান রুবেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং রফিকুল ইসলাম ঝিনাইগাতি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে মামলা রয়েছে।
এর আগে, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া নোয়াখালী, সিলেট ও বাগেরহাটের সাবেক ৩ এসপিকেও নেয়া হয়েছে হেফাজতে। শুক্রবার রাতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে তাদের আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে আনা হয়েছে। শনিবার বিকেলে সারদা পুলিশ একাডেমি থেকে আনা হয়েছে মোল্লা নজরুল ইসলামকে। নীলফামারীর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আটক করে। একই দিন রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ও আবুল হাসনাতকে আটক করে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।