বিদায় শীত। আজ মাঘের শেষ দিন। ঋতুরাজ বসন্ত শুরু হচ্ছে কাল। তাই গোপালগঞ্জে পলাশ ফুলের রঙিন পাঁপড়িতে নতুন সাজে সেজেছে প্রকৃতি। পলাশ ফুল মুগ্ধতা ছড়িয়ে জানান দিচ্ছে বসন্ত এলো রে। ভালবাসা দিবসকেও যেন রাঙিয়ে তুলছে।
গ্রামীণ আবহে আগে হরহামেশাই রাস্তার ধারে দেখা মিলতো মনমোহিনী পলাশের। প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তোলা চোখ ধাঁধানো গাঢ় লাল রঙের অপরূপ সে পলাশেরই দেখা মিলেছে গোপালগঞ্জে।
“ও পলাশ ও শিমুল-কেন এ মন মোর রাঙালে-জানিনা জানিনা আমার এ ঘুম কেন ভাঙালে”-প্রকৃতির এই অপরূপ রঙের সাজ দেখে যে কারোরই চোখ জুড়িয়ে যায়। পাখির কলকাকলি বসন্তের অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ডাকে আপন সুরে। ঋতুরাজের রূপ দেখে প্রকৃতি প্রেমি প্রাণীকূলও মেতে উঠে মিলনের আনন্দে।
গোপালগঞ্জে বছর দশেক আগেও জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির আনাচে কানাচে, রাস্তার পাশে, হালটে পলাশ গাছ দেখা গেলেও এখন তেমন একটা চোখে পড়ে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২৩-২৪ বর্ষের শিক্ষার্থী মানসিতা কবির শিওনা বলেন, “পলাশ ও শিমুল ফুল আমাদের প্রকৃতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপাদান। আমরা যেটা দেখি প্রকৃতিপ্রেমি মানুষ যারা আছেন, প্রকৃতিকে অনুভব করতে ভালোবাসেন- তারা পলাশ ও শিমুলের গাছ লাগিয়ে থাকেন। পলাশ ও শিমুল ফুল প্রকৃতির সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে।”
একই বিভাগের শিক্ষার্থী অনিক দাস বলেন, “শীতের জড়তাকে কাটিয়ে প্রকৃতিকে আবার রাঙিয়ে তুলতে আমরা পলাশ ও শিমুল ফুলকে দেখতে পাই। কিন্তু বর্তমানে পলাশ ও শিমুল ফুল দেখাই যায় না। তীব্র গাছ কাটা ও না লাগানোর ফলে পলাশ ও শিমুল ফুল গাছ হারিয়ে যাচ্ছে।”
বশেমুরবিপ্রবির বাংলা বিভাগের সভাপতি মো. আব্দুর রহমান বলেন, “পলাশ ও শিমুল বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে ও প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে দেখা যেতো। আধুনিকতা আর নগরায়ণের ছোঁয়া পলাশ গাছ কেটে ফেলায় আর বীজ বপণ না করায় এসব গাছের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে। সৌন্দর্য্যবর্ধক গাছগুলো এখন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে পাখিরা তাদের আবাসস্থল হারিয়ে পড়ছে অস্তিত্ব সংকটে।”
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।