আবু আব্দুল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি:
টানা তিন মাসের সংকট কাটিয়ে আবারও জমজমাট হতে শুরু করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ধানের মোকাম। দেশের পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এই মোকামে উঠতে শুরু করেছে নতুন বোরো ধান। এর ফলে দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আবারও সচল হয়েছে জেলার প্রায় আড়াইশ চালকল। তবে এবার সরকারিভাবে ধানের যে দর বেধে দেওয়া হয়েছে, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে তা কিছুটা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন চালকল মালিকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর পাড়ে শত বছরেরও বেশি সময় ধরে ধানের হাট বসছে। এটি পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় মোকাম হিসেবে পরিচিত। মূলত এই মোকাম ঘিরেই গড়ে উঠে জেলার চালকলগুলো। ধানের মৌসুমে প্রতিদিন অন্তত ১ লাখ মণ ধান কেনা-বেচা হয় মোকামে, বাকি সময় যা অর্ধেকে নামে। তবে চাহিদা মেটাতে মেঘনা পাড়ের এই হাট ছাড়াও ধান আনতে হয় দেশের অন্যান্য মোকাম থেকেও।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চালকলগুলো থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে প্রতিদিন অন্তত ১০ কোটি টাকার চাল বাজারজাত করা হয়। এখান থেকে সবচেয়ে বেশি পাঠানো হয় বিআর-২৮ ও বিআর-২৯ জাতের চাল। এ দুটি জাত মূলত চিকন চালের। এছাড়া মোটা ধান থেকে করা চাল মিল মালিকরা সরবরাহ করেন সরকারি খাদ্যগুদামে।
তবে, গেলো বছরের ডিসেম্বর থেকে আশুগঞ্জ মোকামে ধানের সংকট দেখা দেয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যা আরও প্রকট হয়। এর ফলে চালের বাজারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠে। প্রত্যেক জাতের চালের বস্তায় (৫০ কেজি) দাম বাড়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। তবে চলতি এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে মোকামে নতুন বোরো ধান উঠতে শুরু করে। বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে বিআর-৮৮ ও মোটা ধান। বিআর-৮৮ মূলত চিকন জাত। ধীরে ধীরে মোকামে বাড়ছে ধানের সরবরাহ। এর ফলে দামও কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।