সকল মেনু

অবৈধ সম্পদ ও চোরাকারবারি সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন তাজামুল, হান্নান ও খোকন

কলমাকান্দা (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি:

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় কুমিল্লা লাকসামের সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহাব্বত আলীর নামে আলোচিত অবৈধ সম্পদ কেলেঙ্কারিতে নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন রংছাতি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তাজামুল ইসলাম সরকার (দলিল লেখক), ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খোকন মিয়া ও আব্দুল হান্নান।

সোমবার (১২ মে) দুপুরে কলমাকান্দা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, একটি চক্র মনগড়া ও সাজানো গল্প বানিয়ে আমাদের জড়িয়ে একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এতে আমাদের সম্মান, সামাজিক অবস্থান ও রাজনীতিক পরিচয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

সম্প্রতি স্থানীয় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করা হয়, সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলামের শ্যালক মহাব্বত আলী কলমাকান্দার পাতলাবন, রংছাতি ও খারনই এলাকায় নামে-বেনামে প্রায় ৫০ কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন এবং তাকে বিদেশে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। সেই তালিকায় উঠে এসেছে তাজামুল, হান্নান ও খোকনের নাম।

সংবাদ সম্মেলনে তাজামুল বলেন, আমি একজন দলিল লেখক। পেশাগত দায়িত্ব হিসেবে তিনটি জমির দলিল লিখেছি মাত্র। এর বাইরে মহাব্বতের সঙ্গে আমার আর কোনও আর্থিক বা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই।

অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল হান্নান বলেন, আমাকে চোরাকারবারি বলা হয়েছে—এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মানহানিকর। এর পেছনে স্থানীয় একটি চক্রের ষড়যন্ত্র রয়েছে, যারা আমাদের রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে চায়।

খোকন মিয়াও অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, আমাকে একান্ত সহকারী বলা হয়েছে, অথচ আমি তার সঙ্গে কোনো ব্যবসা বা সম্পদের লেনদেনে যুক্ত নই। এসব অপপ্রচার আমাদের পরিবার ও রাজনৈতিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

তারা বলেন, প্রকৃতপক্ষে মহাব্বতের অবৈধ সম্পদের তদন্ত হোক—এটা তার ব্যাপার। তবে এই ইস্যুকে ঘিরে নির্দোষ ও নিরীহ মানুষদের জড়ানো এবং সামাজিকভাবে হেয় করা অত্যন্ত নিন্দনীয়।

তারা সাংবাদিকদের কাছে দাবি জানান, যথাযথ তথ্য যাচাই না করে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার না করার অনুরোধ করছি। আমরা মানহানিকর প্রচারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক রংছাতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী ডা. আব্দুল মজিদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, শিক্ষক মো. রুহুল আমিন প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top