কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ছাত্রদল নেতা মো. আ. গাফফারের (২৬) ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের নেতা মো. মিজানুর রহমান মিজান (৫৫) ও সদ্য অপসারিত উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ বাবুলের ছোট ভাই শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ রতনকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার মো. মিজানুর রহমান মিজান উপজেলার চান্দুয়াইল গ্রামের আবুল গফুরের ছেলে এবং আব্দুল ওয়াদুদ রতন সেইচাহানি গ্রামের মৃত আ. রহিম মণ্ডলের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) উপজেলার পৃথক পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে নিজ বাসায় গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করে কলমাকান্দা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. লুৎফর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃত আব্দুল ওয়াদুদ রতনকে আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরের দিকে জেলা আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে মিজানুর রহমান মিজানকে একইদিন সন্ধ্যার দিকে জেলা আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পরে চাঁদাবাজি, নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলার শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ রতন একাধিক মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি। স্থানীয় পুলিশকে ম্যানেজ করে মামলা দায়েরের পর থেকে এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন এমন দাবি স্থানীয়দের।
আব্দুল ওয়াদুদ রতনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলার আসামি থাকা সত্ত্বেও পূর্বের একাধিক মামলার তথ্য গোপন করে তাড়াহুড়া করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। যে কারণে আদালত তাকে জামিন প্রদান করেন। এই নিয়ে স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীরাসহ স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তাদের মাঝে দেখা দিয়ে রহস্য ও নানা প্রশ্নে জন্ম দিয়েছে।
গত ২৮ মে ছাত্রদল নেতা মো. আ: গাফফারের ওপর হামলা করে তাকে মারধরের অভিযোগে কলমাকান্দা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বিরোধের জেরে পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ ওঠে।
এর আগে গত ২৭ মে মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের হরিপুর চকবাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।