কলমাকান্দা (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি :
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার পাহাড়ি নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু রাস্তার পাশে ফেলে গর্ত ভরাটের নামে রেখে তা এখন প্রকাশ্যে বিক্রি করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের গজারমারি এলাকার ভেলুয়াতলিতে এই ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কিছুদিন আগে এলাকাবাসীর সামনে রাস্তার গর্ত ভরাটের অজুহাতে পাহাড়ি নদী ডেনকি থেকে উত্তোলিত বালু ফেলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল সেই বালু লুকিয়ে রাখা এবং পরবর্তীতে তা বিক্রি করা। অভিযোগ রয়েছে, এই কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাদেক মিয়া নামের এক ব্যক্তি, যার সঙ্গে আরও অন্তত চারজন জড়িত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, সরাসরি এক্সক্যাভেটর (ভেকু) ব্যবহার করে বালু তোলা ও ট্রলিতে করে বিক্রি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব দৃশ্য ক্যামেরাবন্দিও হয়েছে। দিনের আলোয় এমন কর্মকাণ্ডে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, প্রথমে বলেছিল রাস্তার গর্ত ভরাট করবে। এখন দেখা যাচ্ছে সেই বালুই বিক্রি করছে ট্রলিতে করে। প্রশাসন যেন দেখেও না দেখার ভান করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে গর্ত করে রাখা বালু এক্সক্যাভেটর দিয়ে তুলে ট্রলিতে তোলা হচ্ছে। ফলে রাস্তার অবকাঠামো যেমন হুমকির মুখে পড়ছে, তেমনি পাহাড়ি নদী ও পরিবেশের ওপরও মারাত্মক প্রভাব পড়ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাদেক মিয়া বালু বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “রাস্তার পাশে আমাদের নিজ নামে জমি রয়েছে। অনেক আগেই আমরা সেই গর্তে ডেনকি নদীর বালু ফেলেছিলাম। এখন এলাকার উন্নয়নের কাজে সেই বালু নেওয়া হচ্ছে।
তবে এসব দাবি মানতে নারাজ স্থানীয়রা। তাদের দাবি, এটি অবৈধ বালু ব্যবসার একটি কৌশলী পদ্ধতি। তারা দ্রুত তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, খবর পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।