সকল মেনু

ভাইকে মেরে ফেলার অভিযোগ অভিনেত্রী সামিরা খান মাহির

ছোটপর্দার আলোচিত অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় তিনি। সাধারণত সোশ্যালে নিজের ক্যারিয়ার ও সমসাময়িক বিভিন্ন ব্যাপারে কথা বলতে দেখা যায় তাকে। কিন্তু এবার দুঃসংবাদ দিয়েছেন। গত রোববার জানান, তার কাজিন আবু শাহেদ রাসেল মারা গেছেন। এবার জানালেন তার সেই ভাইকে মেরে ফেলা হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) বেলা ১১টা ৪৯ মিনিটে ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি।

ফেসবুকে কাজিনের ড্রাইভিং লাইসেন্সের ছবি প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, আমার ভাইটা চলে গেল। ওকে মেরে ফেলল! আর আমরা কিছুই করতে পারলাম না।

এর কিছুক্ষণ পর দুপুর ৩টা ২১মিনিটে কালো কাগজে ঢেকে রাখা কাজিন আবু শাহেদ রাসেলের কবরের একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন সামিরা খান মাহি। সেখানে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, আমি গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমার কাজিন ছোট ভাই, যে আমাদের সঙ্গে আমাদের বাসায় থাকত। একটি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে সে। একটি নোহা গাড়ি ২-৩ বার ধাক্কা দিয়ে ওকে ফেলে দেয়, গাড়িটি পানিতে পড়ে যায়। প্রায় ১৫ মিনিট পর দুইজন মানুষ ওকে গাড়ির গ্লাস ভেঙে পানির নিচ থেকে তোলে, কিন্তু এরপর যা ঘটে, সেটা আরও ভয়ংকর।

এ অভিনেত্রী লিখেছেন, হাসপাতাল ওকে ভর্তি নেয় নাই, কারণ ওরা চিন্তা করছিল কোথাকার কে এসেছে, বিল দেবে কিনা, পরিবার কারা―এই সব হিসাব। একজন মানুষের জীবন তাদের কাছে মূল্যবান ছিল না। এরপর ওকে নেয়া হয় সরকারি হাসপাতালে, কিন্তু সেখানকার ব্যবস্থাপনাও অগোছালো। যথাযথ চিকিৎসা হয়নি।

পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, আমার প্রশ্ন, প্রথমে কী আসা উচিত―একজন মানুষের জীবন, না টাকা-পয়সার হিসাব? একটা মানুষ রাস্তায় পড়ে থাকে, আর একটি গাড়িও দাঁড়ায় না, এ কেমন মানবতা? মানুষ কি সত্যিই এতটা নির্দয় হয়ে গেছে? এই সমাজ, এই স্বাস্থ্যব্যবস্থা, এই মনুষ্যত্ব, সবকিছু আজকে প্রশ্নের মুখে। আমার ভাই আর নেই, কিন্তু আমি চাই না অন্য কারো পরিবারের সঙ্গে এমন হোক। আজকে আমার ভাই, কাল আপনার। মানবতা ফিরে আসুক, মানুষের প্রাণই হোক অগ্রাধিকার।

এদিকে সংবাদমাধ্যমকে সামিরা খান মাহি জানিয়েছেন, গত শনিবার সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তার কাজিন আবু শাহেদ রাসেলের। ফেনী থেকে ঢাকায় ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত্যু হয় তার। কুমিল্লার ময়নামতি ক্রস করার পর দুর্ঘটনাটি ঘটে। রাত ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে ওর গাড়িকে একটি বড় গাড়ি ধাক্কা দিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। সেখানে অনেক পানি ছিল। প্রধান সড়ক থেকে ওই পুকুরও দেখা যাচ্ছিল না। আর দুর্ঘটনার সময় আশপাশে অন্য কোনো গাড়িও ছিল না সেখানে। একটি মোটরসাইকেল ছিল।

সেই মোটরসাইকেলের আরোহীরা দেখতে পান তাকে। পরে তারাই নিকটস্থ হাসপাতালে নেয়। সেই হাসপাতালে না রাখলে পাশের আরেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে এক ঘণ্টার মতো জীবিত ছিল।

তিনি আরও জানান, কোন গাড়ি ধাক্কা দিয়েছে, সেটি কেউ জানে না। এ কারণে আইনি পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে দাফন হয়েছে মরদেহের। তবে মরদেহের কোনো পোস্টমর্টেম করা হয়নি। পরিবার কোনো কাটাছেড়া চায়নি বলে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top