আধিপত্য বিস্তার ও মোবাইল ফোনে কথা বলা নিয়ে বাক বিতণ্ডার জেরে পাবনার সুজানগর উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রউফসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মজিবর খাঁর অনুসারী আশিক মোবাইল ফোনে একটি মেয়ের সাথে কথা বলেন। এ কারণে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রউফ খাঁর ভাতিজা ও তার অনুসারীরা আশিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে ও তাকে মারধর করে।
এ নিয়ে বুধবার বিকেলে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। সংঘর্ষে বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রউফ খাঁসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সুজানগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৌফিক হাসান আলহাজ্ব বলেন, সংঘর্ষের ঘটনাটি দলীয় কোনো বিষয় নয়। আঞ্চলিক বা ব্যক্তিগত বিষয়।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপি’র দু’গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল। সংঘর্ষেও খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয় গ্রুপের কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন আছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।