যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পরও অক্ষত আছে ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত। অভিযানে সেন্ট্রিফিউজের বড় একটি অংশ ধ্বংস হলেও এখনও ইউরেনিয়াম ভর্তি কিছু বিশেষ কন্টেইনার ইরানি কর্মকর্তাদের আয়ত্তে রয়েছে। জ্যেষ্ঠ এক ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাতে চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
দফায় দফায় ইসরায়েলি হামলার পরও গেল ২১ জুন ইরানের তিন গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ফেলা হয় ৩০ হাজার পাউন্ডের ১৪টি বাঙ্কার বিধ্বংসী বোমা।
যুক্তরাষ্ট্র- ইসরায়েল দু’পক্ষেরই দাবি ছিল- অভিযানটির কারণে অন্ততপক্ষে এক থেকে দুই বছর পর্যন্ত পিছিয়েছে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি। অথচ এখন ভিন্ন কথা শোনা যাচ্ছে তেলআবিবের মুখে।
এই ইস্যুতে নেতানিয়াহু প্রশাসনের এক সিনিয়র কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করলো নিউ ইয়র্ক টাইমস। যাতে বলা হয়, ইরানের কাছে সেন্ট্রিফিউজ রয়েছে ১৮ হাজারের মতো। মার্কিন হামলায় এই সেন্ট্রিফিউজের বড় একটি অংশ ধ্বংস করা হয়েছে। তবে সেই কর্মকর্তা জানান, ইরানের ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের সম্পূর্ণ মজুতের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এক ধরণের বিশেষ কন্টেইনারে সংরক্ষণ করা হয়েছিল সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম। যেগুলো এখনও ইরানি বিজ্ঞানীদের আয়ত্তে রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম দিয়েই পারমাণবিক বোমা বানাতে সক্ষম তেহরান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা জানান, ১০ মাস আগে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লার মৃত্যুর পরপরই পারমাণবিক বোমা বানাতে তোড়জোড় শুরু করে ইরান। যার যথেষ্ট প্রমাণ ছিল তেলআবিবের কাছে। পরবর্তীতে যা ওয়াশিংটনকেও জানানো হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।