বিশ্ব বাঘ দিবস আজ। বন অধিদফতরের আয়োজনে আজ (মঙ্গলবার) ‘বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি সুন্দরবনের সমৃদ্ধি’ স্লোগানে পালিত হবে এই দিবসটি।
বাঘের প্রাকৃতিক আবাস রক্ষা করা এবং বাঘ সংরক্ষণের জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে প্রতিবছরের ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস পালন করা হয়। জানা গেছে, ২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত বাঘ অভিবর্তনে এ দিবসটির সূচনা হয়।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিশ্ব বাঘ দিবস-২০২৫ উপলক্ষে রাজধানীর বন ভবনের হৈমন্তি মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত থাকবেন।
২০২৪ সালের বাঘ জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে বাঘের সংখ্যা ১২৫টি। এর আগে ২০১৫ সালের বাঘশুমারি অনুযায়ী, সুন্দরবনে বাঘ ছিল ১০৬টি।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে এক জরিপে ২১টি বাচ্চাসহ বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০টি। ২০০৯ সালে বনবিভাগ এক জরিপে ৪০০ থেকে ৪৫০ বাঘের সন্ধান পান। ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৫ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত এক জরিপে বাঘের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় মাত্র ১০৬টি তে। ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ২২৯ দিনে ১৬৫৯ কিলোমিটার এলাকায় ২৪৯টি জায়গায় গাছের সঙ্গে ৪৯১টি সর্বাধুনিক ক্যামেরা ট্র্যাকিং পদ্ধতিতে জরিপে বাঘের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১৪টি। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এক জরিপে বাঘের সংখ্যা দাঁড়ায় ১২৫টি তে।
সুন্দরবনের ৬০৫টি গ্রিটে ১২১০টি ক্যামেরা ৩১৮ দিন রেখে এ জরিপ চালানো হয়। ভারত, নিউজিল্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞ দলের মতামতের ভিত্তিতে জরিপের ছবি ও তথ্য বিশ্লেষণ করে বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। ১০ লাখের বেশি ছবি ও ভিডিও থেকে ৭২৯৭টি বাঘের ছবি পাওয়া যায়। যা এর আগে কখনই পাওয়া যায়নি।এ জরিপ সম্পন্ন করতে ব্যয় ধরা হয় ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।