যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের স্পেস সংস্থার যৌথ সমন্বয়ে অভিনব এক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, যা পৃথিবীর পৃষ্ঠে অতি সূক্ষ্ম পরিবর্তনও ট্র্যাক করতে সক্ষম। এই অভিযান প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করতে পারে।
এই অভিযানের নাম নাসা-ইসরো সিনথেটিক অ্যাপারচার রাডার মিশন (নিসার)। এটি মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-এর প্রথম যৌথ উপগ্রহ প্রকল্প। এই উপগ্রহে দুটি রাডার সিস্টেম রয়েছে, যা পৃথিবীর পৃষ্ঠের উচ্চ রেজোলিউশনে ডেটা সংগ্রহ করবে।
নিসার ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে বুধবার (৩০ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১০ মিনিটে (ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটে) ইসরোর জিএসএলভি-এফ১৬ রকেটে করে উৎক্ষেপণ করা হয়। এই উৎক্ষেপণ নাসার ইউটিউব চ্যানেলে লাইভ সম্প্রচারিত হয়।
এই উপগ্রহটি পৃথিবীকে দিনে ১৪ বার প্রদক্ষিণ করবে এবং প্রতি ১২ দিনে পৃথিবীর প্রায় সমস্ত বরফ ও স্থলভাগের স্ক্যান সম্পন্ন করবে। এটি পৃথিবীর পৃষ্ঠে ইঞ্চির ভগ্নাংশ পরিমাণ পরিবর্তনও শনাক্ত করতে পারবে। নিসারের ডুয়াল রাডার সিস্টেম ভূমিধস, ভূমিকম্প, বরফের চাদর, হিমবাহ, জলাভূমি ও কৃষিজমির পরিবর্তন পর্যবেক্ষণে সাহায্য করবে। এর ডেটা সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ হবে, যা হারিকেন, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, বন্যা ও দাবানলের পূর্বাভাস ও মোকাবিলায় ব্যবহৃত হবে।
নাসার বিজ্ঞান মিশন ডিরেক্টরেট-এর সহযোগী প্রশাসক নিকি ফক্স বলেন, ‘এই মিশন বিজ্ঞানীদের পৃথিবীকে আগের চেয়ে আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেবে, যা প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করবে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।