আবু আব্দুল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরজুড়ে হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে আজ রোববার ৭সেপ্টম্বর এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহরের বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে আসা হাজারো শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও তৌহিদি জনতার অংশগ্রহণে এ মিছিল শুরু হয়।
সকালে শহরের কান্দিপাড়াস্থ জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে প্রায় ৫০টির বেশি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আলেম-ওলামারা জড়ো হন। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। স্লোগানে স্লোগানে শহর মুখরিত হয়ে ওঠে।
পরে বিক্ষোভ মিছিলটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে জেলা হেফাজতে ইসলামের জেলা কমিটির সভাপতি মুফতি মাওলানা মুবারক উল্লাহর সভাপতিত্বে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা হেফাজতের সিনিয়র সহসভাপতি মুফতি মাওলানা বোরহান উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা মারুফ কাসেমী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মাওলানা জাকারিয়া খান, মাওলানা ইউসুফ ভূইয়া, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা বেলাল হোসাইন, মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা আবুবকর প্রমুখ।
“আওয়ামীলীগের দোসর “নাঈমদের গ্রেফতার চাই”, “হাটহাজারী হামলার বিচার চাই”—এমন নানা শ্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে তিন দফা দাবি উত্থাপন করা হয়—দাবির মধ্যে রয়েছে রাত ৮টার মধ্যে আওয়ামী লীগের দোসর আব্দুর রহমান নাঈম ও পীর নাঈমকে গ্রেফতার করতে হবে।
তাদের গ্রেফতার করা না হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় আগামীকাল আজ সোমবার থেকে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
সম্প্রতি হাটহাজারী মাদ্রাসায় হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সংশ্লিষ্ট হামলাকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি মুফতি মাওলানা মুবারক উল্লাহ। তিনি বলেন— “জনগণের দাবি পূরণ না হলে হেফাজতে ইসলাম মাঠে নামতে বাধ্য হবে। প্রশাসনকে এ বিষয়ে আন্তরিক হতে হবে। অন্যথায় আন্দোলন আরও তীব্র আকার ধারণ করবে।”
অন্য বক্তারা বলেন, “দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষদের অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হলে এর জবাব রাজপথেই দেওয়া হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চাই, কিন্তু দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলন অনিবার্য।”
মিছিলে ব্যাপক সংখ্যক তৌহিদি জনতার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। শহরের বিভিন্ন সড়কে ট্র্যাফিক ও জনসমাগমের কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে থেকে পুরো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
হেফাজতের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলতে থাকবে। আর আগামীকাল থেকে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।