সকল মেনু

রিক্রিয়েশন সেন্টারের আড়ালে ক্যাসিনো ও জুয়ার আসর, ধরা ৫৩

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে রিক্রিয়েশন সেন্টার এন্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটির আড়ালে ক্যাসিনো ও জুয়ার আসর থেকে ৫৩ জনকে আটক করেছে র‍্যাব। এ সময় বিভিন্ন রুম থেকে এলোমেলো অবস্থায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ১৫৫ সেট তাস, জুয়া খেলার চিপ ৪৩০টি (বিভিন্ন রংয়ের) এবং নগদ ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়। রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. ফেরদৌস আলম (৫৭), মো. দিদারুল আলম (৫০), মো. সাইফুল ইসলাম (৪১), মো. শাহাবুদ্দিন (৬২), মো. আবুল কালাম আজাদ (৬৬), মো. দেলোয়ার হোসেন (৪০), মো. আলাউদ্দিন (৫০), মো. শহিদউল্লাহ (৪৭), মো. জাকির হোসেন (৫৩), মো. তাওহিদুল মাওলা (৫১), গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ (৫৯), মো. সাইফুল ইসলাম (৫২), মো. আব্দুস সালাম (৭২), মো. জাকির হোসেন (৬৪), মোসাদ্দেক (৫৮), সুধীর দাস (৭২), নোমান (৪৮), কাজী মো. জাকারিয়া (৫৬), মো. নজরুল ইসলাম (৫৮), মো. সাইফুল আজম (৪২), মো. ফজলুল করিম (৫৪), মাহফুজজুর রহমান (৪৫), মো. হেলাল উদ্দিন (৬০), মো. বাবু (২৭), মো. শামসুল ইসলাম (৫৩), উৎপল চৌধুরী (৪৬), রবি শংকর (৪৩), মো. জসিম (৩৭), মো. সোহরাফ হোসেন (৪২), কাজী মোজাহিদুল ইসলাম ওরফে নওশাদ (৫২), মহিউদুল্লা ওরফে কাজল (৫৭), মো. আরিফুল ইসলাম (৪২), মো. ওহিদুর রহমান (৬৩), মো. আমিরুল ইসলাম (৬২), গোলাম রসুল (৬২), আব্দুর রশিদ (৪৭), মো. নুরুল ইসলাম (৬৪), মাহবুব নবী চৌধুরী (৫৭), মো. ফরিদ (৪২), আব্দুর শুক্কুর (৫৫), মো. আবুল হাসান (৩২), মো. শহীদুল ইসলাম সাগর (২৪), মো. সুমন চৌধুরী (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫০), মো. ওমর ফারুক (৫২), মো. সোহাগ (১৯), মো. জসীম (২৩), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫৭), মো. রফিকুল হাসান (৩৯), আশীষ গুহ (৫৫), মো. রেজাউল মাওলা (৪২), মো. মনির আহম্মদ চৌধুরী (৬৫) ও মো. মঞ্জুর আলম (৫৮)।

র‍্যাব কর্মকর্তা নুরুল আবছার জানান, নগরীর হালিশহর থানাধীন পোর্ট কানেকটিং হালিশহর মার্টের উত্তর পাশে নবাব টাওয়ারের তৃতীয় তলায় রিক্রিয়েশন সেন্টার এন্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটির আড়ালে ক্যাসিনো ও জুয়া খেলা চলছে বলে খবর পাই। এ তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার রাত সোয়া ৯টায় অভিযান চালিয়ে ৫৩ জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি জানান, রিক্রিয়েশন সেন্টার এন্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটির আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাসিনো ও জুয়া পরিচালনা হয়ে আসছিল। তারা বেট করতে প্লাষ্টিকের চিপ ব্যবহার করতো। তাদের ম্যানেজারের কাছ থেকে অর্থ প্রদান বা ঋণের মাধ্যমে সেই চিপ কিনতে হতো। এই চিপের দাম ৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ মূল্য ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। এলাকার যুবসমাজ অবৈধ অর্থের প্রলোভনে পড়ে এই ক্যাসিনো ও জুয়া খেলায় জড়িয়ে যেত এবং অনেকে সর্বশান্ত হতো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top