Print

SomoyKontho.com

১৩২ বছরের রেকর্ড ভেঙে আসামে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টি

প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২, ২০২৫ , ২:৫০ অপরাহ্ণ | আপডেট: জুন ২, ২০২৫, ২:৫০ অপরাহ্ণ

সময়কন্ঠ ডেস্ক

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে জুন মাসের প্রথম দিনেই নেমে আসে ভয়াবহ বৃষ্টি। রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শিলচরে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৪১৫.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এটি ১৮৯৩ সালের পর একদিনে সর্বোচ্চ। খবর, এনডিটিভি’র।

রোববার (১ জুন) এতদিন ধরে বজায় থাকা ১৩২ বছরের পুরোনো ২৯০.৩ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড ভেঙে যায়।

দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর (আইএমডি) বলছে, উপরিভাগের ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপ— এই দুই মিলে অস্থির আবহাওয়ার সৃষ্টি করেছে। মধ্য আসাম থেকে পূর্বের অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত এক শক্তিশালী বৃষ্টিপাতের অঞ্চল গঠিত হয়েছে।

গত তিন দিনে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলো— আসাম, মণিপুর, ত্রিপুরা, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মিজোরামে ৩১ মে দিনে স্বাভাবিকের তুলনায় ১ হাজার ১০২ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

২০২২ সালে বেথকুন্ডিতে বরাক নদীর ওপর নির্মিত একটি বাঁধ ভেঙে গেলে শিলচর ভয়াবহ বন্যার মুখে পড়ে। বাঁধটি শহর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বাঁধ ভাঙার পর শিলচর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন শহরের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকাই পানির নিচে চলে যায়।

সেভেন সিস্টার্সের অন্যান্য রাজ্যেও প্রাক-বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ ক্ষতির আভাসই দিচ্ছে। মেঘালয়ের অন্তত ১০টি জেলা আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ত্রিপুরায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি মানুষ। মণিপুরে নদীর পানি উপচে পড়া ও বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৯ হাজারের বেশি মানুষ এবং অন্তত ৩ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি।

উল্লেখ্য, এই অস্বাভাবিক আবহাওয়া পরিস্থিতি ভারতের গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে, বৃষ্টিপাত ও তার পরবর্তী প্রভাব আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আব্দুল করিম
সম্পাদকীয় কার্যালয়: এস করিম ভবন, তৃতীয় তলা ৪৩, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট ঢাকা- ১২০৫
ফোন: 02 9356582, মোবাইল: 01715635623, ইমেইল: [email protected]