Print

SomoyKontho.com

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩, জ্বালানি কেন্দ্রে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৫, ২০২৫ , ৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: জুন ১৫, ২০২৫, ৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ

সময়কন্ঠ ডেস্ক

রাজধানী তেলআবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় দফায় দফায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। রাতভর চালানো এ হামলায় কেঁপে উঠেছে ইসরায়েলি ভূখণ্ড। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হাইফায়। ইরানি মিসাইল হামলায় আগুন ধরে যায় একটি জ্বালানিকেন্দ্রে। এতে নিহত হয় অন্তত ৩ ইসরায়েলি, আহত অন্তত ১৩।

শনিবার (১৪ জুন) দিবাগত রাতে রীতিমতো বজ্রের গতিতে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত হানে একের পর এক ইরানি মিসাইল। এসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ইসরায়েলিদের মাঝে।

এদিন রাতের হামলার মূল লক্ষ্য ছিলো ইসরায়েলের বিভিন্ন জ্বালানিকেন্দ্র, বিমানবন্দর এবং সামরিক স্থাপনা। ইরানের দাবি, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে হাইফার একটি জ্বালানি কেন্দ্র। ধ্বংস হয়েছে জ্বালানি সংরক্ষণ কাঠামোর বেশিরভাগ অংশই। এর পাশের আবাসিক এলাকায় ইরানি মিসাইল বিস্ফোরণে প্রাণ গেছে ৩ ইসরায়েলির।

ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলার ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছিলো ইরান। কিন্তু তারপরও ইরানি ব্যালিস্টিক মিসাইলের একের পর এক আক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হয় ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

এর আগে, ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরাইল। মিসাইল হামলা হয় বন্দর আব্বাস লক্ষ্য করে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে শাহরান তেল মজুদ কেন্দ্রের। এই মজুতকেন্দ্র থেকেই জ্বালানি সরবরাহ করা হয় রাজধানী তেহরানে। এর পাশাপাশি হামলার শিকার হয় ইরানের প্রতিরক্ষা দফতরও।

এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তেহরান পর্যন্ত পৌছানোর পথ আমরা পেয়ে গেছি। আয়াতুল্লাহ প্রশাসনের প্রতিটি ভবন স্থাপনা আমরা ধ্বংস করবো। ইরানের পরিকল্পনা ২০ হাজার মিসাইল তৈরী করা। সেই সাথে পারমাণবিক অস্ত্রও। কিন্তু আমরা সেটি হতে দেবো না।

প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আব্দুল করিম
সম্পাদকীয় কার্যালয়: এস করিম ভবন, তৃতীয় তলা ৪৩, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট ঢাকা- ১২০৫
ফোন: 02 9356582, মোবাইল: 01715635623, ইমেইল: [email protected]