Print

SomoyKontho.com

শামসুল ইসলামের আত্মত্যাগে নির্মিত হবে ‘দামপাড়া’

প্রকাশিত হয়েছে: ডিসেম্বর ২২, ২০২১ , ৪:১২ অপরাহ্ণ | আপডেট: ডিসেম্বর ২২, ২০২১, ৪:১২ অপরাহ্ণ

সময়কন্ঠ ডেস্ক

প্রতিনিধি : মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা শামসুল ইসলামের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হবে ‘দামপাড়া’। আগামী বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে শুরু হবে ছবিটির শুটিং। ছবির গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন আনন জামান। পরিচালনা করবেন শুদ্ধমান চৈতন। আর প্রযোজনায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। ছবিতে শামসুল ইসলামের চরিত্রে অভিনয় করবেন ফেরদৌস আহমেদ। তার স্ত্রী মাহমুদা হক চৌধুরীর ভূমিকায় আশনা হাবিব ভাবনা।
যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়, পাকিস্তানিদের লক্ষ্যই ছিল চট্টগ্রামে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা শামসুল ইসলামকে হত্যা করা। অবর্ণনীয় নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে হত্যা করে পাকিস্তানিরা। শহীদ হন তিনি, তবে তার লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এম. শামসুল হক ১৯৭১ সালের চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন। নিজ জীবন বাজি রেখে তিনি চট্টগ্রামের জনগণের সাথে পুলিশকে একাত্ম করে এক জনযুদ্ধের সূচনা করেন। ২৮ মার্চের পর চট্টগ্রাম শহরের নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে চলে যায়। ১৭ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে নিয়ে যায় এবং নির্মমভাবে হত্যা করে।

৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর লালদিঘিতে পুলিশ সদর দপ্তরে স্থাপন করা হয় কন্ট্রোলরুম। কন্ট্রোলরুমে প্রতিনিয়ত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা বৈঠকে মিলিত হতেন। তারা পুলিশ সুপার শামসুল হকের দিক-নির্দেশনা নিতেন ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করতেন। ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম এলাকার সেনাবাহিনী, ইপিআর, পুলিশ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে মুক্তিবাহিনী গঠিত হয়। চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর দুইশ বাঙ্গালি সদস্য পুলিশ লাইন্সে আশ্রয় নিলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে রাজনৈতিক নেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও এসব বাঙ্গালী সদস্যদের হাতে অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ তুলে দেয়া হয়।

২৬,২৭ ও ২৮ মার্চ চট্টগ্রাম দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচন্ড যুদ্ধ হয়। পরে ২৯ মার্চ দিবাগত রাত ভোর ৪টার সময় পুলিশ লাইন্সের দক্ষিণ-পূর্ব দিক এবং উত্তর-পূর্ব দিক থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এক যোগে আক্রমণ করে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারী মেশিনগান এবং থ্রি ইঞ্চি মর্টার ব্যবহার করে। যুদ্ধরত পুলিশ সদস্যরা পাহাড়ের ঢালে এবং ট্রেঞ্চে অবস্থান করায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রথম দিকে বিশেষ বেগ পেতে হয়। পরবর্তীতে ভোর ৬টার দিকে গোলাবারুদের অভাবে যুদ্ধরত পুলিশ সদস্যদের প্রতিরোধ ভেঙে পড়ে এবং পুলিশ সদস্যদের একটি বড় অংশ শাহাদাত বরণ করেন।

প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আব্দুল করিম
সম্পাদকীয় কার্যালয়: এস করিম ভবন, তৃতীয় তলা ৪৩, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট ঢাকা- ১২০৫
ফোন: 02 9356582, মোবাইল: 01715635623, ইমেইল: [email protected]