Print

SomoyKontho.com

কুড়িগ্রামে পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ, প্লাবিত নতুন নতুন এলাকা

প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৯, ২০২২ , ৩:২৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: জুন ১৯, ২০২২, ৩:২৪ অপরাহ্ণ

সময়কন্ঠ ডেস্ক

সময়কন্ঠ প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২২ , ৩:২৫

কুড়িগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত না হলেও নদ-নদীর পানি ধীরগতিতে বাড়তে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। জেলার ৯টি উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছে। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় নদী অববাহিকা নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে নিচু অঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ জন।

ব্রহ্মপুত্র নদের ভেতরে জেগে ওঠা দুর্গম চরাঞ্চলে থাকা অসংখ্য পরিবার নৌকা ও বাঁশের মাচাং-এ আশ্রয় নিয়ে অনাহার-অর্ধাহারে রয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় অনেকেই তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে উঁচু বাঁধ, মাটির টিলা এবং উচু সড়কে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। বন্যা কবলিত এলাকা সমূহে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। নিজেদের পাশাপাশি গবাদিপশু নিয়েও অসংখ্য পরিবার বিপাকে রয়েছেন। অনেকে তাদের গৃহপালিত গরু-ছাগল উঁচু এলাকায় সরিয়ে নিতে পারলেও গো-খাদ্যের যোগান দিতে না পারায় বিপাকে পড়েছে তারা। বন্যা কবলিত এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে শিক্ষা বিভাগ।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর পারবতীপুরের জব্বার আলী জানান, পানি বৃদ্ধির ফলে ঘরের ভিতর আর থাকার উপায় নেই। বর্তমানে নৌকায় অবস্থান করছি। ৩/৪ দিন ধরে পানিতেই বসবাস করছি। সহায় সম্বল যা ছিল সব কিছুই পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কোন সরকারি সহযোগিতা পাইনি। চুলা জ্বালানোর মতো সুযোগও নেই। সেখানে এ রকম অসংখ্য পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছেন। এসব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কোথাও সরকারি সাহায্যের ছিটে ফোঁটাও পৌঁছেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার নতুন নতুন এলাকায় নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। খরস্রোতা তিস্তার তীব্র ভাঙনে উলিপুর উপজেলার থেতরাই ও বজরা ইউনিয়নের ব্যাপক এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে নিদারুণ কষ্টে রয়েছে। বেশ কিছু ঘরবাড়ি এখন ভাঙনের অপেক্ষায় রয়েছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে রাজারহাট উপজেলার ডাংরা বাজারের অদূরে তিস্তানদী তীরবর্তী এলাকায়।

জেলার উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মশালের চরের সহরত আলী জানান, কোন রকমে ঘরের মাঁচাং উঁচু করে বউ বাচ্চা নিয়ে আছি। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে আর ঘরে থাকারও উপায় থাকবে না। এখন কি করমো কোনটে জামো বুঝবার পারছি না।

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া জানান, আমার ইউনিয়নের মশালের চর ও পুর্বমশালেরচরসহ আশেপাশে প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় অনাহারে-অর্ধাহারে আছে। এরমধ্যে কিছুসংখ্যক পরিবার ফকিরের চর আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিলেও কেন্দ্রটিও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: আব্দুল করিম
সম্পাদকীয় কার্যালয়: এস করিম ভবন, তৃতীয় তলা ৪৩, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট ঢাকা- ১২০৫
ফোন: 02 9356582, মোবাইল: 01715635623, ইমেইল: [email protected]